পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র לא כי צ তোমরা যুব, তোমাদের কত মুখ আছে বল দেখি ; আমাদের উদ্যমের মুখ নাই, কৰ্ম্মানুষ্ঠানের মুখ নাই, একমাত্র বকুনির সুখ আছে, তাহাও সম্মুখের দস্তাভাবে ভালরূপে সমাধা হয় না, ইহাতেও তোমরা চটলে চলিবে কেন ? & কাজ নাই ভাই, আমার সংশয় আমার বিজ্ঞতা আমার কাছেই থাক্, তোমরা নিঃসংশয়ে কাজ কর, নিৰ্ভয়ে অগ্রসর হও । নুতন নুতন জ্ঞানের অনুসন্ধান কর, সত্যের জন্ত সংগ্রাম কর, জগতের কল্যাণের জন্ত জীবন উৎসর্গ করিয়া দীর্ঘজীবন লাভ কর। যে স্রোতে পড়িয়াছ, এই স্রোতকেই অবলম্বন করিয়া উন্নতি-তীর্থের দিকে ধাবমান হও, নিমগ্ন হইলে লজ্জার কারণ নাই, উত্তীর্ণ হইতে পরিলে তোমাদের জন্মলাভ সার্থক হইবে, তোমাদের দুঃখিনী জন্মভূমি ধন্ত হইবে । আমি যে চিরজীবন কাটাইয়। অবশেষে যাবার মুখে তোমাদের দু’টো একটা কথা বলিয়া যাইতেছি, তাহ শুনিলে যে তোমাদের উপকার হইবে না, একথা আমাৰ বিশ্বাস হয় না । তাহার সকল কথাই যে বেদবাক্য তাহা নহে, কিম্বা তাহার সকল কথাই য়ে এখনকার দিনে খাটিবে তাহাও নহে, কিন্তু ইহা নিঃসংশয় যে তাঁহাতে কিছু না কিছু সত্য আছেই, আমার এই সুদীর্ঘ জীবন কিছু সমস্ত ব্যর্থ, সমস্ত মিথ্য নহে ; এই সংশয়াচ্ছন্ন সংসারে আমার দীর্ঘ জীবন যে, সত্য পথনির্দেশের কিছুমাত্র সহায়তা করিবে না তাহা আমার মন বলিতে চায় না। এই জন্ত, আমি কোনো দৃঢ় অনুশাসন প্রচার করিতে চাই না, আমি বলিতে চাই না আমার সমস্ত কথা আগাগোড়া পালন না করিলে তোমরা উৎসল্প যাইবে, আমি কেবল এই বলিতে চাই আমার কথা মনোযোগ দিয়া শুন, একবারে কানে আঙুল দিয়ে না, তার পরে বিচার কর, বিবেচনা কর, যাঁহ ভাল বোধ হয় তাহা গ্রহণ কর। সম্মুখের 8 D