পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও প্রতীচ্য আমি যখন যুরোপে গেলুম তখন কেবল দেখ লুম, জাহাজ চলচে, গাড়ি চলচে, লোক চলচে, দোকান চলচে, থিযেটাব চলচে পালেমেণ্ট চলচে—সকলই চলচে। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সকল বিষয়েষ্ট একটা বিপৰ্য্যয় চেষ্টা অহৰ্নিশি নিবতিশয় ব্যস্ত হষে বয়েছে , মানুষেব ক্ষমতাব চূড়ান্ত সীমা পাবার জন্তে সকলে মিলে অশ্রান্তভাবে ধাবিত হচ্চে । দেখে আমার ভাবতবৰ্ষীয প্রকৃতি ক্লিষ্ট হয়ে ওঠে, এবং সেইসঙ্গে বিস্ময়-সহকাবে বলে—ক্টা, এরাই বাজাব জাত বটে। আমাদের পক্ষে যা যথেষ্টেব চেয়ে ঢেব বেশি এদের কাছে তা অকিঞ্চন দাবিদ্র্য । এদের অতি সামান্ত সুবিধাটুকুব জন্তেও, এদেব অতি ক্ষণিক আমোদের উদ্দেশেও মানুষেব শক্তি আপন পেশী ও স্নাযু চবম সীমায় আকর্ষণ কবে খেটে মরচে । জাহাজে বসে ভাবতুম এই যে জাহাজটি অহর্নিশি লৌহবক্ষ বিস্ফারিত করে চলেছে, ছাদের উপরে নরনাবীগণ কেউ বা বিশ্রামমুখে কেউ বা ক্রীড়াকৌতুকে নিযুক্ত কিন্তু এব গোপন জঠবের মধ্যে যেখানে অনন্ত অগ্নিকুণ্ড জলচে, যেখানে অঙ্গাবকৃষ্ণ নিরপরাধ নারকীর। প্রতিনিয়তই জীবনকে দগ্ধ করে সংক্ষিপ্ত কবচে, সেখানে কি অসহ চেষ্টা, কি দুঃসাধ্য পরিশ্রম, মানব জীবনের কি নিদয় অপব্যয় অশ্রান্তভাবে চলচে । কিন্তু কি করা যাবে? আমাদেব মানব রাজা চলেচেন , কোথাও তিনি থামৃতে চানন , অনৰ্থক কাল নষ্ট কিম্বা পথ-কষ্ট সহ কবতে তিনি অসম্মত । র্তাব জন্তে অবিশ্রাম যন্ত্রচালনা করে কেবলমাত্র দীর্ঘ পথকে হ্রাস