পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՀ সমাজ যায় । নহিলে, সকল জিনিষের যেমন দস্তুর আছে, মনটাই আগেভাগে খুব কণ্টকিত হইয়া সকলের চোখে পড়ে, ভালটা অনেক বিলম্বে গাঝাড়া দিয়া উঠে। আমার কথা ত আমি বলিলাম এখন তোমার কথা তুমি বল। তুমি কলেজে পড় নাই বলিয়া কিছুমাত্র সঙ্কোচ করিয়ো না । কারণ, তোমারও লেখাতে কালেজের বিলক্ষণ গন্ধ ছাড়ে। সেটা সময়ের প্রভাব । স্রাণে অদ্ধ ভোজন হয় সেটা মিথ্যা কথা নয়। অতএব এখনকার সমাজে বসিয়া তুমি যে নিশ্বাস লইতেছ ও নন্ত লইতেছ, তাহাতেই কালেজের অৰ্দ্ধেক বিদ্যা তোমার নাকে সেঁধোইতেছে। নাক বন্ধ করিতে পারিতেছ না, কেবল নাক তুলিয়াই আছ। যেন পেয়াজ রমুনের ক্ষেতের মধ্যে বাস করিতেছ এবং তোমার নাতিরাই তাহার এক একটি হৃষ্টপুষ্ট উৎপন্ন দ্রব্য। কিন্তু ইহা জানিয়ে এ গন্ধ ধুইলে যাইবে না মাজিলে যাইবে না, নাতিগুলোকে একেবারে সমুলে উৎপাটন করিতে পার ত যায়। কিন্তু এ ত আর তোমার পাকা চুল নয়, রক্তবীজের ঝাড় । সেবক ঐনবীনকিশোর শষ্মণঃ । (o) ভায়া, দাদা মহাশয়ের সঙ্গে ঠাট্ট তামাসা করিতে পাও বলিয়া যে তাহাদিগকে ভক্তি করিতে হইবে না, এটা কোনো কাজের কথা নহে। দাদা মহাশয়রা তোমাদের চেয়ে এত বেশী বড় যে র্তাহাদের সঙ্গে ঠাট্র}