পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৪

W列ゲ সমাজ ডারইনের বহুপূৰ্ব্বে আমাদের পূর্বপুরুষেরা তাহাদের পূর্বতর পুরুষদিগকে বানর বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন, আধুনিক বিজ্ঞানের সমুদয় সিদ্ধান্তই শাণ্ডিল্য ভৃগু গৌতমের সম্পূর্ণ জানা ছিল, ইহা সমস্তই মানিলাম, কিন্তু তাই বলিয়াই যে আমরা আমাদের কৌলিন্ত লইয়৷ স্ফীত হইতে থাকিব, সেই মুদুর কুটুম্বিতার মধ্যেই গুটি মারিয়া বসিয়া থাকিব, কাছাকাছির সহিত কোনো সম্পর্ক রাখিব না, এমন হইতে পারে না। বাল্যকালে এক দিন উত্তমরূপে পোলাও খাওয়া হইয়াছিল বলিয়া যে অবশিষ্ট জীবন ভাতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করিতে হইবে এমন কোনো কথা নাই। আমাদের বৈদিক পৌরাণিক যুগ যে চলিয়া গেছে, এ বড় দুঃখের বিষয়, এখন সকাল সকাল এই দুঃখ সারিয়া লইয়া বৰ্ত্তমান যুগের কাজ করিবার জন্য একটু সময় করিয়া লওয়া আবশ্যক। আমি যখন বলিয়াছিলাম ভাবের প্রতি আমাদের দেশের লোকেব নিষ্ঠা নাই, ব্যক্তির প্রতিই আসক্তি, তখন আমি রামচন্দ্র হরিশ্চন্দ্র দধীচির কথা মনেও করি নাই—কীটের মত যেখানকার যত পুরাতত্ত্বানুসন্ধানে আমার উৎসাহ নাই। আমি অপেক্ষাকৃত আধুনিকের কথাই বলিতেছি । তর্ক বিতর্কের প্রবৃত্তি দুব করিয়া একবার ভাবিয়া দেখ দেখি, মহৎ ভাবকে উপন্যাসগত কুহেলিকা জ্ঞান না করিয়া মহৎভাবকে সত্য মনে করিয়া, তাহাকে বিশ্বাস করিয়া তাহার জন্ত আমাদের দেশে কয় জন লোক আত্মসমর্পণ করে ? কেবল দলাদলি, কেবল আমি আমি আমি এবং অমুক অমুক অমুক করিয়াই মরিতেছি। আমাকে এবং অমুককে অতিক্রম করিয়াও যে, দেশের কোনো কাজ কোনো মহৎ অনুষ্ঠান বিরাজ করিতে পারে ইহা আমরা মনে করিতে পারি না । এইজন্য আপন আপন অভিমান লইয়াই আমরা থাকি। আমাকে বড় চৌকী দেয় নাই, অতএব এ-সভায় আমি থাকিব না, আমার পরামর্শ জিজ্ঞাসা করে নাই অতএব ও-কাজে আমি হাত দিতে পারি না, সে