পাতা:সমালোচনা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

ডি প্রোফণ্ডিস্‌।

বলিতেছেন। বাহ্য জগৎ সেই অন্তর্জগৎকে সীমাবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে মাত্র।

“Out of the deep, Spirit, out of the deep,
With this ninth moon, that sends the hidden sun
Down yon dark sea, thou comest, darling boy.

 সেই সমুদ্র হইতে তুমি আসিতেছ। জ্যোতির্ম্ময় সূর্য্যকে সমুদ্রতলে বিসর্জ্জন দিয়া ক্ষীণালোকে চন্দ্র উদিত হইল। তাহার সঙ্গে সঙ্গে তুমিও উদিত হইলে, তুমিও মহাজ্যোতিকে বিসর্জ্জন করিয়া আসিলে। পূর্ব্বে যে মনুষ্যকে কবি সম্ভাষণ করিয়াছিলেন, সে অপরিস্ফুটতর অবস্থা হইতে পরিস্ফুটতা প্রাপ্ত হইয়াছে, এবারে যে আত্মাকে সম্ভাষণ করিতেছেন সে পূর্ণ অবস্থা হইতে অপূর্ণতা প্রাপ্ত হইয়াছে।

For in the world, which is not ours, They said
‘Let us make man’ and that which should be man,
From that one light no man can look upon,
Drew to this shore lit by the suns and moons
And all the shadows.’

 কি মহারহস্যপূর্ণ উক্তি! কিছুই স্থির করিতে পারিতেছি না, কিছুরই সীমা পাইতেছি না। “সে জগৎ আমাদের নহে।” সে কোন্‌ জগৎ? কে জানে কোন্‌ জগৎ। মহাকবি আদিকবির মনোজগৎ কি? “They said” তাহারা কহিল– কাহারা? কে জানে কাহারা! তাঁহার মনোরাজ্যের অধিবাসীরা? তাঁহার ভাব- সমূহ? তাঁহার কল্পনা? এখানে সমস্তই রহস্য। কবি আলোকের রাজ্যে