পাতা:সমালোচনা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

ডি প্রোফণ্ডিস্‌।

কি হইয়াছ! তুমি যে জগতে আসিয়াছ, তাহাকে ভাগ করিয়া শেষ করা যায়। তখন যে এক-জগতে ছিলে তাহা গণনার জগৎ নহে। এখন যে জগতে আসিয়াছ এখানে সূর্য্য নক্ষত্র গণনা করিয়া শেষ করা যায় না, তথাপি গণনা করা যায়। তখন অসীম দেশে অসীম কালে ছিলে, এখন যে দেশে যে কালে নির্ব্বাসিত হইয়াছ তাহার সীমা পাইতেছি না, অথচ সীমা আছে। তাহা সীমা-বিভক্ত অসীম।

তুমি কি ছিলে, কি হইয়াছ! তুমি ছিলে এক অসীমের মধ্যে, এখন তুমি তাঁহার চূর্ণ বিচূর্ণ উপচ্ছায়া মাত্র। কিন্তু এইখানেই তোমার শেষ নহে। তুমি অসীমের নিকট হইতে অসীম দূরে আসিয়াছ; তুমি অনন্তকাল ধরিয়া ক্রমশঃ তাঁহার নিকটবর্ত্তী হইতে থাকিবে। তোমাকে আর কি কহিব! –

“Live thou! and of the grain and husk, the grape
And ivyberry, choose; and still depart
From death to death thro’ life and life, and find
Nearer and ever nearer Him, who wrought
Not matter, nor the finite-infinite,
But this, main-miracle, that thou art thou,
With power on thine own act and on the world.”

 প্রথম সম্ভাষণে মনুষ্য-ভাবে তোমাকে কহিয়াছিলাম

‘Live, and be happy in thyself, and serve
This mortal race thy kin.”

 বাঁচিয়া থাক, তুমি সুখী হও, তোমার স্বজাতীয় জীবদিগকে সুখী কর ও অবশেষে বিনা কষ্টে ধীরে ধীরে মৃত্যু লাভ কর। মানুষের পক্ষে