পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাত্রকে নিদ্রিত করণ ঘুরাইতে আরম্ভ করিবে। বলা বাহুল্য যে, তাহার মাথাটি এরূপ ভাবে ঘুরাইবে, যেন সে উহাতে ব্যথা না পায়। উক্তরূপে পাত্রের মাথা যুৱাইতে ঘুরাইতে ঘুমের আদেশ প্রদান করিবে। বলিৰে—“ঘুম —ঘুম-ঘুম—গভীর নিদ্রা” ইত্যাদি। ষষ্ঠ নিয়ম পাত্রকে পূর্বের ন্তায় বসাইবে কিম্বা শোওয়াইবে। তৎপরে তাহার কপাল হইতে প্রায় এক ফুট উৰ্দ্ধে, কাৰ্য্যকারক নিজের দক্ষিণ তর্জনীটিকে নিম্নাভিমুখী করিয়া, শূন্তের উপর ( দেড় বা জুই ফিট পরিধির মধ্যে ), গোলাকারে আস্তে আস্তে ঘুরাইতে আরম্ভ করিবে। যখন সে তর্জনীটি ঘুরাইবে, তখন পাত্র ঐ তর্জনীর অগ্রভাগের প্রতি স্থির দৃষ্টিতে তাকাইয়া থাকিয়া, তাহার চক্ষু দ্বারা উহার গতি অনুসরণ করিবে, অর্থাৎ তর্জনীটি যেমন গোলাকারে ঘুরিতে থাকিবে, পাত্রের দৃষ্টিও ঘুরিয়া ঘুরিয়া উহার গতি অনুসরণ করিবে। যে পৰ্য্যন্ত পাত্রের চক্ষু ক্লান্ত না হইবে, ততক্ষণ পৰ্য্যন্ত কাৰ্য্যকারক তাঁহার নাসিক-মুলে প্রখর দৃষ্টি স্থাপন পূৰ্ব্বক তর্জনীটি উক্তরূপে খুৱাইতে থাকিবে। পরে যখন তাহার চক্ষু অত্যন্ত ক্লান্ত হইয়া পড়িবে, তখন সে চক্ষু বুজিয়া একাগ্রমনে ঘুমের বিষয় ভাবিতে আরম্ভ করিবে। সে চক্ষু বুজিবার পর, কাৰ্য্যকারক আঙ্গুল ঘুরাণ বন্ধ করিয়া গম্ভীর ও একঘেয়ে স্বরে ঘুমের আদেশ দিবে এবং তৎসঙ্গে তাহার শরীরের উপর কয়েকটি স্পর্শযুক্ত নিম্নগামী পাস প্রয়োগ করিবে। বলিবে—“ঘুম-ঘুম-ঘুম—গভীর নিদ্রা-গাঢ় 33)