পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাত্রকে নিদ্রিত করণ আরম্ভ করিয়াছে, তখন কাৰ্য্যকারক তাহার নাসিকামূলে প্রখর দৃষ্টি স্থাপন পূৰ্ব্বক, নিজের দক্ষিণ বৃদ্ধাঙ্গুলিটি তাহার কপালের সৰ্ব্বোচ্চ সীমায় (চুলের গোড়ায়) স্থাপন করিয়া ঐ হাতের অপর অঙ্গুলিগুলি তাহার কপালের পার্শ্বে রাখিবে। তৎপরে দক্ষিণ হাতের অঙ্গুলিগুলি কপালের পার্শ্ব হইতে না সরাইয়া, বুদ্ধাঙ্গুলিটি ঐ স্থান হইতে বরাবর নীচের দিকে নাসিকার অগ্রভাগ পৰ্য্যন্ত আস্তে আস্তে টানিয়া আনিবে এবং পুনঃ পুনঃ ঐরূপ করিতে থাকিবে ও তৎসঙ্গে ঘুমের আদেশ দিবে। বলিবে— “ঘুম-ঘুম-ঘুম-গভীর নিদ্রা” ইত্যাদি । নবম নিয়ম পূৰ্ব্বোক্ত নিয়মে পত্রিকে বসাইবে কিম্বা শোওয়াইবে। তৎপরে কাৰ্য্যকারক তাহার নাসা-মূলে স্থির ও তীব্র দৃষ্টি স্থাপন করতঃ ধীরে ধীরে ’এক’ হইতে ‘কুড়ি' পৰ্য্যন্ত সংখ্যাগুলিকে গণিবে। সে এক সেকেণ্ডে এক একটি সংখ্যা গণিবে, সুতরাং কুড়ি গণিতে তাহার কুড়ি সেকেও সময় লাগিবে। তাহার এক একটি সংখ্যা গনণার সঙ্গে সঙ্গে পাত্র এক একবার তাহার চক্ষু বন্ধ করিয়া আবার তৎক্ষণাৎ উহাদিগকে খুলিয়৷ ফেলিবে। উক্তরূপে বার বার বন্ধ করিতে ও খুলিতে যখন পাত্রের চোখ অত্যন্ত ক্লান্ত হইবে, তখন সে উহাদিগকে দৃঢ়রূপে বন্ধ করিয়া একাগ্র মনে ঘুমের বিষয় ভাবিতে আরম্ভ করিবে। শিক্ষার্থীর কুড়ি গণার মধ্যে তাহার চক্ষু ক্লান্ত ও বন্ধ ন হইলে, সে পুনরায় ‘এক হইতে 'কুড়ি' পৰ্য্যন্ত সংখ্যা গণিবে ; কিন্তু পূৰ্ব্বে যেমন সে এক সেকেণ্ডে এক একটি সংখ্যা গণনা করিয়াছে, এবার সেরূপে গণনা না করিয়া, প্রত্যেক পাচ {