পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা হয়ত অপর এক ব্যক্তির একটু তন্দ্রাও হয় না । সুতরাং কিরূপ প্রকৃতির লোকের উপর কোন নিয়ম কাৰ্য্যকরী হইবে, তাহ সম্যকৃরূপে বুঝাইয়। দেওয়া কঠিন। শিক্ষার্থ কয়েকটি বিভিন্ন প্রকৃতির লোক নিদ্রিত করণান্তর অভিজ্ঞতা লাভ করিতে পারিলে, সে নিজেই উহা উপলব্ধি করিতে সমর্থ হইবে । পাত্রকে নিদ্রিত করিবার সময় কাৰ্য্যকারক তাহার নাসিকা-মূলে স্থির দৃষ্টি স্থাপন করিয়া, শরীরের উপর পাস প্রয়োগ ও তৎসঙ্গে ঘুমের আদেশ দিবে। সে যে সকল পাস ব্যবহার করিবে, উহার যে রকমেরই হউক, খুব ধীর ভাবে প্রদান করিবে। ঘুমের আদেশগুলির কিয়দংশ গম্ভীর ও আদেশ স্বচক এবং অপরাংশ একঘেয়ে সুরে হইবে । কারণ ক্রমাগত একঘেয়ে মুর কর্ণরন্ধের ভিতর দিয়া মস্তিষ্কে প্রবেশ করতঃ উহাতে বিশেষ রকমের একটি অনুভূতি উৎপাদন করে এবং সেই অনুভূতি আবার সন্মোহনবিদের ইচ্ছাশক্তি ও পাত্রের একাগ্রতার সাহায্যে তীক্ষুতর হইয়া শীঘ্ৰ নিদ্রাকর্ষণ করিয়া থাকে। ঝিঝি পোকা সমুহের ঝির ঝি রবে ও ভেককুলের একঘেয়ে আৰ্ত্তনাদে বহুলোক নিদ্রাভিভূত হইয়া পড়ে । আমাদের দেশে স্ত্রীলোকেরা যে এক রকমের ছড়া ব্যবহার করে, উহার একঘেয়ে সুরেই শিশুদিগের নিদ্রাকর্ষণ হইয়া থাকে। নিদ্রিত হইবার সময় পাত্র যেমন একাগ্রমনে ঘুমের বিষয় চিন্তা করিবে, কাৰ্য্যকারকও সেইরূপ মৌখিক আদেশের সঙ্গে একাগ্র মনে এরূপ চিন্তা করিবে যে, পাত্র অবগু ঘুমাইয়া পড়িবে’, ‘নিশ্চয় তাহার গভীর নিদ্র হইবে’ ইত্যাদি । "לגול