পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা বিজ্ঞ চিকিৎসক মাত্রই স্বীকার করিয়া থাকেন। সম্মোহন চৈতন্যহারকতায় সেরূপ কিছু হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নাই । বোধরহিতাবস্থা উৎপাদন ঃ-পাত্র মায়া ও ভ্রমের অধীন হওয়ার পর, তাহীর শরীরের যে কোন অংশে (অবশুই কোন কোমল ইন্দ্রিয় ব! যন্ত্রীদির উপর নয় ) এই বোধরহিতবস্থা উৎপাদন করিতে পারা যায় । মোহিত ব্যক্তির নাসিকা-মূলে প্রখর দৃষ্টি স্থাপন পূর্বক দৃঢ় স্বরে বলিবে“আমি এখন তোমার হাতে একটা সূচ বিধাইয়া দিব, কিন্তু উহাতে তুমি ব্যথা পাইবে না –তোমার একটুও বেদন হইবে ন,—ঘ হইবে না,—রক্ত পড়িবেন ; তোমার হাতখানা অবশ হইয়া গিয়াছে,—সম্পূর্ণরূপে বোধশক্তি-হীন হইয়া গিয়াছে।” দুই-তিনবার এইরূপ আদেশ দেওয়ার পর, তাহার হাতের যে স্থানে স্থচ বিধাইতে ইচ্ছা করিবে, সেই স্থানে কয়েকটি স্পর্শযুক্ত পাস দিতে দিতে পুনৰ্ব্বার বলিবে—“এইক্ষণ আমি তোমার হাতের এইখানে একটা সূচ বিধাইয়া দিতেছি-উহাতে তোমার বিন্দুমাত্র জালা-যন্ত্রণা হইবে না-রক্ত পড়িবে না—ঘ হইবে না-তুমি একটু টেরও পাইবে না।” দুই-তিন বার এইরূপ আদেশ দিয়া, একটা খুব ধারাল স্বচ লইয়া উহা দ্বারা হাতের সেই স্থানে দুই-একবার আস্তে আস্তে খোচা দিবে, যদি উহাতে তাহার বেদন না লাগে, তবে ঐ স্থানের খানিকট চামড়া টানিয়া ধরিয়া, স্বচ দ্বারা উহাকে ভেদ করিয়া ফেলিবে । সম্মোহনবিং স্কুচ বিধাইবার সময় কখনও ভীত বা উত্তেজিত হুইবে না এবং উপস্থিত ব্যক্তিদিগকেও আহা-উছ’ ইত্যাদি যন্ত্রণ স্থচক শব্দ করিতে নিষেধ করিবে ; কারণ উহ। বিরুদ্ধ অাদেশের ক্লযি করিয়৷ 288