পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিস্ত্য শক্তি বলে বহু কাৰ্য্য সাধন ও উপরোক্ত যাবতীয় বিষয়ের উন্নতি করিতে পারে। যদি সে মনের মধ্যে স্বীয় আকাঙ্ক্ষানুযায়ী কোন একটি ভাবকে চিন্তা বা বাক্যের পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি দ্বারা দৃঢ়ৰূপে অঙ্কিত করিয়া দেয়, তবে তাহার মন সেই ভাবটিকে কার্য্যে পরিণত করিয়া থাকে। কোন রুগ্ন ব্যক্তি যদি বিশ্বাসের সহিত পুনঃ পুনঃ এইরূপ চিন্তা করে যে, তাহার রোগ ক্রমে ক্রমে আরোগ্য হইতেছে,—দিন দিনই সে অধিকতর সুস্থত। লাভ করিতেছে, তবে তাহার মন উহার অন্তর্নিহিত শক্তি প্রভাবে এই ভাবটি কার্য্যে পরিণত করিয়া থাকে। যে ব্যক্তি একটি কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়া ইচ্ছাপূর্বক বা অজ্ঞাতসারে পুনঃ পুনঃ অকৃতকাৰ্য্যতার বিষয় চিন্ত৷ করে, সে উহাতে কখনও কৃতকাৰ্য্যতা লাভ করিতে পারে না। যদি কোন মদ্যপায়ী সৰ্ব্বদা এরূপ চিন্তায় রত থাকে যে, মুরাপানে তাহার শরীর ও মনের ঘোর অনিষ্ট হইতেছে, তাহার অর্থ-সম্পদ নষ্ট হইয়া যাইতেছে এবং সে সমাজে লোকের নিকট অত্যন্ত নিন্দিত হইতেছে, সুতরাং সে এই অনিষ্টকর অভ্যাসকে চিরকালের জন্য পরিত্যাগ করিবে, তবে তাহার মন সুরাপানে বীতস্পৃহ হয় এবং ক্রমে ক্রমে তাহার আসক্তি দূর হইয়া যায়। ব্যবসায় বা চাকরীর উন্নতির জন্য যে সৰ্ব্বদা চিন্তা করে, তাহার তাহাই লাভ হইয়া থাকে। উপযুক্ত প্রণালীতে অটো-সাজ্জেস্সান অভ্যাস দ্বারা এইরূপ বহু কাৰ্য্য সাধন করা যায়। । মানুষের মনের এই ক্ষমতা নূতন আবিষ্কৃত হয় নাই। অতি প্রাচীন কালে বৈদিক ঋষিরাই এই সত্য জগতে প্রথম প্রচার করিয়াছিলেন ; বর্তমান যুগে তাহ বৈজ্ঞানিকগণের দ্বারা দৃঢ়রূপে সমর্থিত হইতেছে মাত্র। শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের অনেকেই হয়ত মনের এই ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করিয়াছেন ጏ¢b”