পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাত্রিংশ পাঠ কাহারও অজ্ঞাতসারে মন পরিবর্তিত করণ দৈহিক রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা কষ্ট ভোগ করে বলিয়া আরোগ্য লাভের জন্ত যেমন আগ্রহান্বিত ও যত্নবান হয়, কোন মানসিক বা নৈতিক রোগগ্ৰস্ত ব্যক্তিরা তেমন হয়না ; অধিকন্তু তাহারা সেই মনোবিকার হইতে মুখই লাভ করিয়া থাকে। তাহাদের পক্ষে আরোগ্য লাভের অর্থ, প্রিয় বস্তু বা বিষয়-ভোগের সুখ হইতে বঞ্চিত হওয়া। এজন্ত তাহারা উহ! হইতে মুক্তি লাভের ইচ্ছা করেন। যে পৰ্য্যন্ত তাহারা ঐ মনোবিকারের বিষময় পরিণামে কষ্ট ভোগ না করে, ততদিন তাহারা উহাতেই আসক্ত থাকিতে ভালবাসে । অবস্ত তাহাদের মধ্যে সময় সময় এরূপ লোকও দেখা যায়, যাহারা যথার্থই সংশোধনের অভিলাষী, কিন্তু আসক্তির দৃঢ়তা বশতঃ তাহারাও কেবল নিজের চেষ্টায় ভাল হইতে পারে না । এই শ্রেণীর লোকদিগের সহজেই সম্মোহন চিকিৎসায় সম্মত করাইয়া সংশোধন করা যাইতে পারে ; কিন্তু অপর ব্যক্তিরা তাহীদের প্রিয় বস্তু বা বিষয় ভোগের মুখ হইতে বঞ্চিত হওয়ার ভয়ে কিছুতেই উহাতে স্বীকৃত হয়না । বৰ্ত্তমান পাঠে এই প্রকৃতির লোকদিগকে তাহীদের অজ্ঞাতসারে সংশোধন করার প্রণালী প্রদত্ত হইল । যাহারা মুরাপায়ী, ইন্দ্রিয়পরায়ণ, ব্যভিচারাসক্ত, কুসংসর্গ লিপ্ত কিম্ব যে সকল বালক বালিকা অবাধ্য, দুঃশীল, মিথ্যাবাদী, লেখাপড়ায় অনিচ্ছুক বা অমনোযোগী অথবা যে সকল স্বামী-স্ত্রী বা দুই বন্ধুর মধ্যে বিশ্বাস ও ভালবাসা নাই ; তাহাদিগকে এবং কেহ কাহীর সহিত শক্রতা >bro\9