পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা চরণ করিলে বা তাহার সম্বন্ধে বিরুদ্ধ ভাব পোষণ করিলে, কিম্বা কেহ অন্তায় রূপে কাহারও বশীভূত হইয়া থাকিলে তাহাদিগকে নিম্নোক্ত প্রণালীতে সংশোধন বা তাহাদের মন পরিবর্তন করা যাইবে । এতদ্ব্যতীত ইহা দ্বারা উক্তরূপ বহুকার্য্য সম্পন্ন করা সম্ভব হইবে। এই প্রণালীতে কাহার মন পরিবৰ্ত্তিত করিতে খুব সতর্কত অবলম্বন অবিশুক। কারণ মনোবিকারগ্রস্ত রোগী তাহার মনোভাব পরিবর্তনের ইচ্ছা করেন বলিয়া তাহার উপর এমন ভাবে চেষ্টা করিতে হইবে, যেন সে উহার বিন্দু বিসর্গও জানিতে না পারে। অন্যথায় সব পও হইয়া যাইবে এবং ভবিষ্যতেও তাহার উপর এইরূপ চেষ্টা ফলবতী হইবেন । দিনে বা রাত্রিতে যখন সে গভীর নিদ্রায় নিদ্রিত থাকিবে, তখন তাহার কোন হিতৈষী নিঃশব্দে তাহার শয্যার উপর গিয়া বসিবে এবং তাঁহার নাসিকা-মূলে স্থির ও প্রখর দৃষ্ট স্থাপন পূর্বক (নাসামূল দেখা না গেলে কেবল তাহার মুখের দিকে তাকাইয়াই) খুব মৃদু স্বরে অথচ দৃঢ় ভাবে ও একাগ্র মনে অভাঙ্গিত বিষয়ে আদেশ দিবে। সম্পূর্ণ আদেশটিকে উক্তরূপে আট-দশবার দেওয়ার পর, নিদ্রিত ব্যক্তি প্রদত্ত আদেশানুসারে অবগু কাৰ্য্য করিবে—২৩ মিনিট এরূপ চিস্তা করিয়া সেস্থান পরিত্যাগ করিবে এবং ষে পর্য্যস্ত সে সংশোধিত বা তাহার মনোভাব পরিবৰ্ত্তিত না হয়, ততদিন প্রত্যহ নিয়মিতরূপে তাহাকে আদেশ দিবে। উক্তরূপে ইহা করিতে পারিলে, এক হইতে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাহার মনোভাবের পরিবর্তন দেখা যাইবে । হিতৈষী রোগীকে যে আদেশটি প্রদান করিবে, তাহা অভসিত কাৰ্য্য সাধনের সম্পূর্ণ উপযোগী হওয়া চাই। সে নিম্নোক্ত আদেশের দৃষ্টাস্ত እbሥ8