পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন ক্রীড়া মহোদয়গণ, আমি আপনাদের সমক্ষে ষে একটি ক্রীড়া প্রদর্শন করিতে প্রস্তুত হইয়াছি, তাহা আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে, সে সম্বন্ধে কয়েকটি কথা বলা আবখ্যক বিবেচনা করি। হিপ্লোটজমকে বাঙ্গলায় সম্মোহন বিদ্যা’ বা "পাশ্চাত্য বশীকরণ বিদ্যা’ বলিয়া অভিহিত করা যাইতে পারে। এই বিদ্যা বলে এক ব্যক্তি তাহার মনঃশক্তি দ্বারা অপর এক ব্যক্তিকে সন্মোহিত বা বশীভূত করত: তাহার মনে অত্যাশ্চর্যরূপে আধিপত্য স্থাপন করিতে পারে। স্বাধীন ইচ্ছা ও বিচার-শক্তি বিশিষ্ট মানুষকে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বশীভূত করিয়া কিরূপ ক্রীড়া-পুত্তলীতে পরিণত করা যায়, আমি তাহারই কয়েকটি আশ্চৰ্য্য ও আমোদজনক দৃপ্ত আপনাদের সম্মুখে প্রদর্শন করিব।” “সন্মোহন বিদ্যা সম্বন্ধে কেহ কেহ অত্যন্ত ভ্রাস্ত ধারণা পোষণ করিয়া থাকেন। র্তাহারা বলেন যে, মোহিতাবস্থা সম্মোহনবিৎ ও পাত্রের ইচ্ছাশক্তির সংঘর্ষণ বা বিরোধে উৎপন্ন হয় এবং সম্মোহনবিং অপেক্ষা পাত্রের ইচ্ছাশক্তি অধিক থাকিলে সম্মোহনাবৎ তাহীকে মোহিত কপ্লিতে পারেন । আবার কেহ কেহ বলেন, যে, সম্মোহনবিৎ মানুষ মাত্রকেই সন্মোহিত করিয়া তাহাকে সম্পূর্ণরূপে নিজের আয়ত্তে আনয়ন করিতে পারে এবং তাঁহার এমন কাৰ্য্যকারক দেখিয়াছেন, বা এমন কার্যাকারকের কথা শুনিয়াছেন, যিনি একবার মাত্র কাহীর দিকে তাকাইয়া মুহূৰ্ত্ত মধ্যে তাহাকে বা শত শত লোককে মোহিত করিতে সমর্থ, ইত্যাদি। এরূপ ধারণা যেমন ভ্রান্তিপূর্ণ, তেমনই কৌতুকজনক । প্রকৃত পক্ষে মোহিতাবস্থা সম্মোহনবিং এবং পাত্রের ইচ্ছাশক্তির সংঘর্ষণে উৎপন্ন হয় না ; উহ। তাহাদের উভয়ের মনের সহযোগিতা উৎপাদিত ఫిసి)