মেস্মেরিজম বা জৈব আকর্ষণী বিদ্য পাত্র মায়া ও ভ্রমের আদেশ অধিক তৎপরতার সহিত পালন করিয়া থাকে। উভয় নিদ্রার সাহায্যে বা মধ্যবৰ্ত্তিতায়ই রোগ চিকিৎসা হইতে পারে। এই সম্বন্ধে মেস্মেরিষ্ট রা দাবী করেন যে, রোগীকে মোহ নিদ্রায় নিদ্রিত না করিয়া কেবল পাসের সাহায্যেও তাহাকে আরোগ্য করা যায় ; পক্ষান্তরে হিপ্নোটিঃ ব্রা বলেন, রোগী মোহিত না হইলেও আর্যেগ্য হইতে পারে বটে, কিন্তু তজ্জন্ত তাহাকে উপযুক্ত আদেশ দেওয়া একান্ত আবিস্ত্যক । মোহ নিদ্রায় পাত্রের অভ্যন্তরীণ জাগরণ হয়, যাহা হিপ্নে টিক্ নিদ্রীয় কখনও হয়না, এজন্ত পাত্রের আত্মিক দ্বিতীয় স্তর ;–লেথব্রিজেটিক্ বা অবসাদাবস্থা। এই স্তরে পাত্র অসার জড়বৎ অবস্থা প্রাপ্ত হয় ; তাহার মাংসপেশী সকল নমনীয়, শিথিল ও আলগা এবং চক্ষু দুইটি বন্ধ থাকে ও শরীরটি সৰ্ব্বাংশে স্পন্দহীন মূৰ্চ্ছায় স্থায় অথবা প্রায় মদের বিঘোর নেশার স্থায় অবস্থা প্রাপ্ত হয় । এই দুইয়ের যে কোন অবস্থায় পাত্রের শরীরে প্রকৃত বা বাহ যন্ত্রণ ব্যতিরেকে অস্ত্র চিকিৎসা করা যাইতে পারে। তৃতীয় স্তর ?--সোনামৃবুলিষ্টিক বা স্বপ্নভ্রমণাবস্থা ইহা মসূমেরিজমের চতুর্থ স্তরের প্রায় সমকক্ষ । ইহাতে পাত্র সম্মোহনবিদের ইঙ্গিতানুসারে স্বপ্নবিষ্ট্রের তৃtয় কার্য্য সকল সম্পাদন করিয়া থাকে । এই অবস্থায় পাত্রের প্রকৃতি অনুসারে যে সকল ইন্দ্রিয় গ্রাহ ব্যাপায় সংঘটিত হয়, তাহা জটিল রকমের । যদি পাত্র উত্তম শ্রেণীর হয়; তবে সম্মোহনবিৎ ইচ্ছা করিলে তাহার স্মৃতি, চিন্তা, এবং কল্পনা প্রখর ও বদ্ধিত করিতে পারে এবং অতীত কালের কোন বস্তু, বিষয় বা ঘটনার স্মৃতি ভtহার মনে জাগাইয় দিতে পারে এবং উক্ত সময়ে তাহার সম্পাদিত কাৰ্য্য সকল তাহার দ্বারা স্বীকার করাইতে পারে। মেসমেরিজমের স্থায় এই অবস্থা গুলি পাত্রের উপর একটি একটি করিয়া বিকাশ করা যাইতে পারে। অধিকাংশ পত্রই বাহত: মধ্যবৰ্ত্তী স্তরে উপনীত না হইয়াই প্রথম স্তর হইতে তৃতীয় স্তরে পৌঁছিয়া থাকে। 3 ο Φ
পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।