পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা দেহের সার পদার্থ-কেবল তাহ নয়, উহার পোষক, বৰ্দ্ধক এবং রক্ষকও বটে। এজন্তই প্রাচীন আর্য্য ঋষিগণ বলিয়াছেন, "মরণং বিন্দু পাতেন, জীবনং বিন্দু ধারণাং” । স্ত্রী-সহবাস বা অন্ত কোন উপায়ে শুক্র ক্ষরণ দ্বারা জীবনী-শক্তির যত বেশী অপচয় হয়, এমন আর কিছুতেই হয়না । এই শক্তি ক্ষয় নিবারণের জন্ত তাহাকে বীর্য্য ধারণ করিতে হইবে। ব্ৰহ্মচৰ্য্য দ্বারা দেহ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য যুক্ত হয় এবং সমধিক পরিমাণে মনের তেজ ও বগ বৃদ্ধি পাইয়া থাকে। কামেন্দ্রিয়ের চালনায় যাহাঁদের কোন সংযম নাই তাহীদের মনঃশক্তি লাভের আশা সুদূরপরাহত । আহার ব্ৰহ্মচর্য্যের সহিত সাত্ত্বিকাহারের খুব নিকট সম্বন্ধ ; এজন্য শিক্ষাভিলাষীকে নিরামিষভোজী হইতে হইবে। যে সকল মনোবৃত্তি এই শক্তির দূরণে বাধা জন্মায়, আমিষাহারে সেই সকল বৃত্তি অধিক উত্তেজনা প্রবণ হয় বলিয়া শক্তি সাধনার পক্ষে নিরামিষই অধিকতর উপযুক্ত খাদ্য। নিরামিষ ভোজনে লোক দীর্ঘায়ু, স্বাস্থ্যবান বলবান, কষ্টসহিষ্ণু, ধীর ও সাত্ত্বিক ভাবাপন্ন হয় ; আর আমিষাহারিগণ অপেক্ষাকৃত অল্পায়ু, নানা প্রকার কঠিন রোগ গ্রস্ত, অল্প শ্রমে কাতর, চঞ্চল ও অধিক পশু ভাবাপন্ন (with more animal propensities) &žiti to i আহার সম্বন্ধে অধিকাংশ লোকই বড় অমনোযোগী। তাহীরা যাহা পায় তাহাই খায় ; শরীরের পক্ষে তাঁহা হিত কি অহিতকর সে বিষয়ে আদেী লক্ষ্য করেন। মানুষের ধাতু-প্রকৃতি বিভিন্ন বলিয়া সকলের পক্ষে একরূপ খাদ্য উপযোগী নয়। যে খাদ্য একজনের স্বাস্থ্য-বৰ্দ্ধক অপরের পক্ষে তাঁহা অত্যন্ত অনিষ্টকর বলিয়া পরিত্যাজ্য। এজন্য শিক্ষার্থীকে २०b'