পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহার-বিহার, মানসিক গুণাগুণ ইত্যাদি স্বীয় প্রকৃতি অনুসারে তাহার খাদ্যtখাদ্য স্থির করিয়া লইতে হইবে । সাধারণতঃ যেরূপ দ্রব্যাদি আহার করিলে শরীরে কোন উদ্বেগ হয় না, শীঘ্র পরিপাক হইয়া যায়, তাহাই শরীর রক্ষার সম্পূর্ণ উপযোগী বলিয়া মনে করিবে। যে পরিমাণ খাদ্য উদরে স্থান পায়, তাহার অৰ্দ্ধেক আহার করিবে ; বাকী অৰ্দ্ধাংশের এক ভাগ জল দ্বারা পূর্ণ করিয়া অবশিষ্টাংশ খালি রাখিবে ; তাহাতে পরিপাক ক্রিয়া উত্তমরূপে সম্পন্ন হইবে । ক্ষুধা লাগিলেই খাইবে ; কিন্তু কখনও বেশী থাইবে না। লোভের বশে অতিরিক্ত অtহার করিলে তাহ হজম করিতে জীবনী শক্তির অপচর হয় এবং অধিক চালনার দরুণ পরিপাক-যন্ত্রও ক্লাস্ত হইয় পড়ে। ক্রমাগত কিছুকাল এইরূপ করিতে থাকিলে উহারা উভয়েই দুৰ্ব্বল হইয়া পড়ে এবং তাঁহার ফলে শরীরে নানা রোগের স্বষ্টি হয়। দিবসাপেক্ষ রাত্রির আহার অল্প হুইবে এবং পাকস্থলীকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্ত মাসে অন্ততঃ দুই দিন উপবাস করিবে । আহারের সময় নিদিষ্ট রাখিবে এবং থাদ্যদ্রব্যগুলিকে ধীরে ধীরে উত্তম রূপে চৰ্ব্বণ করিয়া গিলিবে । কখনও ক্রোধ বা বিরক্তির সহিত অtহার করিবেন ; কিম্ব তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করিবার চেষ্টা পাইবেন । অধিক উষ্ম, অতিশয় শীতল, বাসি বা পচা জিনিষ ( তাহ যত মুখরোচকই হউক ) বাজারের খাবার, চা, বরফ, সোডা, লেমনেড়, এবং সৰ্ব্বপ্রকার মাদক দ্রব্য বর্জন করিবে । অধিকাংশ রোগই আহারের দোষে জন্মিয় থাকে, এজন্য স্বাস্থ্য রক্ষা বিষয়ে আহারের গুরুত্ব সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী । যে সকল শিক্ষার্থী এই উপদেশগুলি পালন করিয়া চলিতে পারবে, বৃদ্ধ বয়স পর্য্যন্তও তাহদের স্বাস্থ্য ও কৰ্ম্ম-শক্তি অটুট থাকিবে, তাহীতে কোন সন্দেহ নাই। శిబిసి S8