পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহার-বিহার, মানসিক গুণাগুণ ইত্যাদি প্রবৃত্তি সমূহের দমন এবং সংবৃত্তি নিচয়ের বিকাশ সাধন পূৰ্ব্বক সাধুভাবে জীবন যাপনে অভ্যন্ত হইতে হইবে। এই সকল বিষয়ের সংযম দ্বারা যেমন তাহার শক্তি ক্ষুরণের সাহায্য হইবে, তেমনি সে লোকের বিশ্বাস, প্রীতি, শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সদেচ্ছা লাভ করিয়া বৈষয়িক এবং আধ্যাত্মিক জীবনেও যথেষ্ট উন্নতি সাধনে সমর্থ হইবে। ংসারী লোকের পক্ষে এই সকল বিষয়ের খুব কঠোর সাধনা সম্ভব নয় বলিয়া, শিক্ষার্থীকে তাহার সাধ্য ও সুবিধানুসারে সাধন করার ইঙ্গিত করা হইল। কিন্তু ইহ প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই বিশেষরূপে স্মরণ রাখিতে হুইবে যে, আত্ম-সংযমই মনঃশক্তি লাভের মূল। সংযমে শক্তি বৃদ্ধি হয়, আর অসংযম বা অত্যাচারে উহা নষ্ট হইয়া যায়। সুতরাং যে যতখানি সাধনা করিতে পরিবে, তাহার সিদ্ধি লাভও ঠিক সেইরূপ হইবে। এই সকল সংযম সম্বন্ধে বহু তত্ত্ব “ইচ্ছাশক্তি"তে সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। শিক্ষাভিলাষী উক্তরূপে শরীর ও মন গঠন পূৰ্ব্বক শিক্ষারম্ভ করিলে তাহার সিদ্ধি লাভ খুব সহজ হইবে বটে, কিন্তু তত দিন তাহার ধৈর্য্য থাকিবে কি ন সন্দেহ। এজন্য সে মেসমেরাইজ করিবার নিয়ম-প্রণালী শিক্ষার সঙ্গেই এই সংযম বা সাধনায় প্রবৃত্ত হইবে। ミ>。