পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা ম্পর্শযুক্ত নিম্নগামী দীর্ঘ পাসের প্রণালী –এই পাস পাত্রের মাথার উপর হইতে আরম্ভ করতঃ পা পৰ্য্যন্ত আনিয়া শেষ করিতে হয়। ইহা করিতে কাৰ্য্যকারক উভয় হাতের আঙ্গুলগুলি অল্প ফাক ও প্রসারণ করতঃ উহাদিগকে (চেয়ারে উপবিষ্ট বা বিছানায় শায়িত ) পাত্রের মাথার উপর পাশাপাশি ভাবে স্থাপন পূর্বক দুই-তিন সেকেও রাখিবে ; পরে হাত দুইখানা ধীরে ধীরে কাপাইয়া কাপাইয়। যথাক্রমে তাহার কপাল মুখ, চিবুক, বক্ষঃস্থল ইত্যাদির উপর দিয়া স্পর্শযুক্ত ভাবে বরাবর নীচের দিকে টানিয়া লইয়া আসিবে। যখন উহারা পায়ের শেষ সীমায় আসিয়া পৌঁছিয়াছে, তখন সে উভয় হাতের আঙ্গুলগুলি মুষ্টিবদ্ধ করণান্তর হাত ছুইখানাকে তাহার ( পাত্রের ) শরীরের দুই পাশ্বে লইয়া গিয়া জোরের সহিত একবার ঝাড়িয়া ফেলিবে । হাতের মুঠায় ধূলা বা বালি থাকিলে উহা দূরে নিক্ষেপ করিতে যেমন ভাবে হাত বাড়িতে হয়, এই ঝাড়নটাও ঠিক সেইরূপ হইবে। ঝাড়নের বাতাস পত্রি বা তাহার নিজের গায়ে লাগিতে না পারে, হাত দুই খানকে এরূপ দূরে লইয়া গিয়া ঝাড়িতে হইবে । হাত বাড়ার অব্যবহিত পরে সে পুনরায় উভয় হাতের মাঙ্গুল গুলি মুষ্টিবদ্ধ করণান্তর হাত দুইখানাকে পাত্রের মাথার উপর লইয়। যাইবে এবং যখন উহার সেখানে আসিয়া পৌঁছিয়াছে, তখন আবার জোরের সহিত উহাদিগকে মাথার উপর বাড়িবে। এই বারের ঝাড়নের বাতাসটা সম্পূর্ণরূপে তাহার মাথার উপর গিয়া লাগ চাই। প্রথম ঝাড়ার পর যখন হাত ছুইখানাকে মাথার উপর আনিবে, তখন উহাদিগকে পাত্রের শরীরের দুই পাশ্বের বহির দিয়া লইয়া যাইতে হইবে। কারণ উহাদিগকে তাহার শরীরের উপর দিয়া লইয়া গেলে, উহ! ২১৮