পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা কতকগুলি নিম্নগামী দীর্ঘ পাস দেওয়ার পর, সম্মোহনবিং শ্রম লাঘবের জন্য এই পাস ব্যবহার করিয়া থাকে ; কিম্ব ইহা দীর্ঘ পাসের সহিতও পৰ্য্যায় ক্রমে প্রযুক্ত হইতে পারে। এই পাসেরও পূৰ্ব্বে এবং পরে পূৰ্ব্বকথিত প্রণালীতে দুইবার হাত ঝাড়িতে হয় । ক্ষুদ্র বা স্থানীয় পাসের প্রণালী ৪—এই পাস সাধারণতঃ চিকিৎসার জষ্ঠই প্রযুক্ত হইয়া থাকে। শরীরের কোন স্থানে কোন রোগ হইলে রোগীকে সম্মোহিত না করিয়া তাহা আরোগ্যের উদ্বেপ্তে ইহ প্রয়োগ করা হয় । নিম্নগামী দীর্ঘ বা উপশম পাস যেমন পাত্রের মাথা হইতে আরম্ভ করিতে হয়, ইহা সেরূপে করা হয়না । এই পাস রোগাক্রান্ত স্থানের খানিকটা উপর হইতে আরম্ভ করিয়া উহার কিয়দূর নীচের দিকে আনিয়া শেষ করিতে হয়। সম্মোহনবিং এই পাস দ্বারা আকর্ষণী শক্তিকে কেবল রুগ্ন স্থানের উপর সঞ্চালন করিয়া থাকে এবং তাহাঁতেই রোগ আরোগ্য হয় । সুতরাং ইহা দ্বারা রোগীর শরীরের অন্ত কোন স্থান আক্রান্ত বা প্রভাবিত হয়না । বিশেষ ভাবে হাত, পা, বুক, পিট বা অন্ত কোন স্থানে কোন রোগ হইলে, রোগীকে মোহিত না করিয়া এই পাস দ্বারা তাহা আরোগ্যের চেষ্টা পাওয়া যায়। এই পাস অধিকাংশ স্থলে স্পর্শযুক্ত আর সর্বদাই নিম্নগামী হয় এবং উহার শেষে হাতখানাকে একবার ঝাড়িয়া ফেলিতে হয়। (৫) কেন্দ্রীভূত আকর্ষণী শক্তির প্রয়োগ প্রণাঙ্গীঃ-কাহারও শরীরের কোন অংশ পীড়িত হইলে তাহ আরোগ্যের জন্য সেইস্থানে কেন্দ্রীভূত আকর্ষণী শক্তির নিয়োগ অবিশুক হইয় থাকে। নিম্নোক্ত ভাবে ইহা করিতে হয়। দক্ষিণ হাতের আঙ্গুলগুলির পরস্পরের মধ্যে ミR。