মেস্মেরিজমে ব্যবহৃত বিশেষ পাস দিকে থাকিবে, যেহেতু হাতের পিঠ দ্বারা পাস করিলে উহার কোন ফলই হয়না। উচ্চগামী বা বিপরীত উপশম পাস দ্বারাও মোহ নিদ্রায় অভিভূত ব্যক্তিকে প্রকৃতিস্থ করা যায়। তাহা করিতে পাত্রের হাটু, কোমর, বুক বা গলদেশ হইতে পাসটি আরম্ভ করত: তাহীর মাথা পৰ্য্যন্ত অনিয়া শেষ করিতে হয় এবং পাসের শেষে হাত দুইখানাকে পূৰ্ব্ব কথিত নিয়মে একবার ঝাড়িয়া ফেলিতে হয় । স্পর্শযুক্ত ও স্পর্শহীন পাসের গুণের বিভিন্নত –পাত্রকে সতেজ বা উৎসাহিত করিতে, কিম্বা তাহার শরীরের অংশ বিশেষকে কঠিন বা সঙ্কোচিত করিতে, অথবা তাহার কোন বেদনা বা যন্ত্রণ দূরীভূত করিতে স্পর্শধুক্ত পাস, আর তাহাকে মেসমেরিক বা মোহ নিদ্রায় অভিভূত করিয়া প্রচুর আরাম দিতে কিম্বা তাহার সমস্ত শরীর বা উহার অংশ বিশেষকে সঞ্জীবনী শক্তি (vitalising force) দ্বারা আক্রান্ত করিতে অথবা স্পর্শযুক্ত পাস দ্বারা উৎপাদিত মোহিতাবস্থা অপস্থত করতঃ তাহার জীবনী-শক্তিকে পুনরায় স্বাভাবিকাবস্থায় আনয়ন করিতে স্পর্শহীন পাস ব্যবহৃত হইয়া থাকে। স্পর্শযুক্ত ও স্পর্শহীন উভয় পাস দ্বারাই পাত্রকে নিদ্রিত এবং প্রকৃতিস্থ করিতে পারা যায় ; কিন্তু স্পর্শযুক্ত পাসের উৎপাদিত নিদ্রা অপেক্ষ স্পর্শহীন পাসের নিদ্রা বেশী গভীর ও আরামপ্রদ হয়। মোহ নিদ্রার যে সকল স্তরে পাত্রের আত্মিক শক্তি সমূহের বিকাশ হয়, সেই সকল স্তর কেবল স্পর্শহীন পাসের সাহায্যেই উৎপাদিত হইয়া থাকে। ९९७
পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।