পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা পরিচয় দেয়, তাহাঁদের মধ্যেও কেহ কেহ কাৰ্য্যকারকের যথা সাধ্য চেষ্টা সত্ত্বেও ইহার পরবর্তী স্তরে পৌছায়ন । লক্ষণ ঃ—স্বাভাবিক নিদ্রার পূর্ব মুহূর্তে লোকের যেরূপ অবস্থা হয়, এই স্তরের প্রথমে পাত্রের ঠিক সেইরূপ অবস্থা প্রকাশ পাইয়া থাকে। ইহাতে পাত্র উদাসীন থাকে এবং তাহাকে বাহ্যতঃ নিদ্রিত বলিয়া বোধ হইলেও তাহার সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে এবং সে চতুঃপার্শ্বস্থ বস্তু, বিষয় বা অবস্থা সম্যক্রূপে উপলব্ধি করিতে পারে। তাহার চক্ষু বন্ধ বা খোলা থাকিতে পারে ; বন্ধ থাকিলে পাতার ভিতরেও উহারা চঞ্চল থাকে। তখন তাহাকে জাগ্রত করিয়া দিলে, যাহা যাহা ঘটিয়াছে তাহ সে সঠিক রূপ বর্ণনা করিতে পারে। এই অবস্থা আর একটু গভীর হইয়াই পাতল মেস্মেরিক নিদ্রীয় পরিণত হয়। তখন তাঁহাকে সম্মোহনবিং বা অপর কেহ কোন প্রশ্ন করিলে সে উত্তর দিবার পূৰ্ব্বে জাগিয়া যায়, (তখনও তাহার চক্ষু বন্ধ বা খোলা থাকিতে পারে ) কিম্বা সে উহাতে চমকিয়া উঠিয়া শরীরটি অধিকতর আরাম জনক ভাবে স্থাপন করতঃ পুনরায় ঘুমাইবার চেষ্টা পায়। বোধ হয় ইহাতে তাহার শান্তি ভঙ্গ হয় বলিয়াই যেন সে একটু বিরক্ত হইয়া অনিচ্ছুক ভাবে ও আলস্ত জড়িত কণ্ঠে জবাব দিয়া থাকে। ইহা সম্পূর্ণ সংজ্ঞাহীন অবস্থা নয় ; কেবল অস্পষ্ট চৈতন্ত বিদ্যমানতার নির্দেশক মাত্র। যদি এখন তাহীর উপর কোন পরীক্ষা করা যায় এবং তাহার ফল উক্তরূপ হয়, তবে ইহা নিশ্চিতরূপে বুঝিতে হুইবে যে, তাহার আত্ম সংযমের ক্ষমতা বিদ্যমান রহিয়াছে। (৩) মানসিকাবস্থা ঃ-এই স্তরে উপনীত পাত্রের যে কেবল সমস্ত শরীর কার্য্যকারকের বশতপন্ন হয়, তাহ নয়, তাহার মনোবৃত্তি সকলও ૨૨૭