পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহ নিদ্রার বিভিন্ন স্তর তাহার আয়ত্তাধীন হইয়া থাকে। এই অবস্থায় পাত্রের মন সম্মোহন শক্তি মানিয়া লয় এবং তাঁহার চৈতন্তও সন্মোহনবিদের সংজ্ঞার বশবৰ্ত্তা হয়। সম্মোহনবিদের আকাঙ্ক্ষা খুব প্রবল হইলে, সে যাহা চিন্তা করে, পাত্রের মনেও সেই ভাবই উদয় হয়, অধিকন্তু পত্রি ঐ ভাবকে স্বীয় মনের অভিব্যক্তি বলিয়া ধারণ করতঃ তাহা দ্বারাই অপ্রতিহত ভাবে চালিত হইয়া থাকে। এই অবস্থাতেই সম্মোহনবিদের ইচ্ছা বা আদেশে নানারূপ ইন্দ্রিয়গ্রাহ ব্যাপার সংঘটিত হইয় থাকে। এই অবস্থা আরও গাঢ় হইলে পর, বাহিরের গোলমাল, শব্দ, স্পর্শ ইত্যাদি আর পাত্রের উপর কোন প্রভাব বিস্তীর করিতে পারে না। যে শক্তি দ্বারা দর্শন, শ্রবণ, অস্বিাদন, আঘ্রাণ ইত্যাদি কাৰ্য্য নিম্পন্ন হয়, তাহার ক্রিয়া আপাততঃ স্থগিদ থাকে বলিয়া জ্ঞানেন্দ্রিয়গণের সজ্ঞান কৰ্ম্ম-শক্তি লোপ পায় এবং পাত্ৰ কাৰ্য্যকারকের উপস্থিতি সম্বন্ধেই সজ্ঞান থাকে । ইহাতে পাত্র এরূপ সংবেদ্য হয় যে, সম্মোহনবিং তাঁহাকে যাহা করিতে আদেশ করে, সে বিনা আপত্তিতে ক্রীড়া পুত্তলীর স্তায় তাহাই করিয়া থাকে। এখন তাহার স্বেচ্ছাকৃত যাবতীয় কৰ্ম্ম দমিত হইয় থাকে এবং তাহার কল্পনাকে আদেশ দ্বারা বহু দূর পর্যন্ত বিস্তৃত করা যায়। fএই স্তরে কার্য্যকারক ইচ্ছামাত্র তাহার মনে যে কোন প্রকার মায়া ও ভ্রম স্বষ্টি এবং তাহীর বহু প্রকার রোগ আরোগ্য করিতে পারে। সম্মোহন ক্রীড়াতে যে অবস্থায় মোহিত পত্রিগণ মায়া ও ভ্রমের অধীন হয় বৰ্ত্তমান অবস্থা তাহার সদৃশ । লক্ষণ ঃ—এই স্তরে পাত্রের আত্মসংযমের ক্ষমতা যাহা পূৰ্ব্বে বর্তমান ছিল, তাহ লোপ পায় এবং সে ক্রমশঃ সজ্ঞাহীন হইবা পড়ে। এখন २२१