পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিষ্ঠা তাহার চতুঃপার্শ্বস্থ গোলমাল, শব্দ ইত্যাদি সম্বন্ধে কোন জ্ঞান থাকেন। এবং সন্মোহনবিৎ ব্যতীত অপর কেহ কোন প্রশ্ন করিলে সে তাহা গ্রাহ্য করে না। তাহার চক্ষুর চঞ্চলত দূর হইয়া যায়, এবং উহারা সম্পূর্ণরূপে স্থির ভাব ধারণ করে এবং নিদ্রা গভীরতর হইলে স্পর্শ দ্বারাও আর বিচলিত হয়ন। এখন আর কিছুতেই তাহাকে বিচলিত করিতে পারেনা; কিন্তু যদি দৃঢ়তার সহিত পুনঃ পুনঃ গোলমাল করা যায়, তবে সে অস্থির হইয়া উঠিতে পারে ; তথাপি তাহার ভাব-গতিকে উপরোক্ত অবস্থাই প্রকাশ পাইয়া থাকে। যদি তাহার হাত বা পা খাপছাড়া ভাবে রাখা যায়, তবে উহা সেই ভাবেই অবস্থিত থাকে। যদি তাহাকে কোন প্রশ্ন করা যায়, তবে সে প্রথম উত্তর দিতে ইতস্ততঃ করে এবং পরে যেন সম্মোহন শক্তি প্রভাবে বাধ্য হইয়াই কতকটা অচৈতন্ত ভাবে যা-কিছুএকটা উত্তর দেয় ; এবং পরক্ষণেই নিদ্রা মগ্ন হইয়া পড়ে। এই অবস্থা গভীরতর হইলে সে কাৰ্য্যকারকের স্বেচ্ছাকৃত প্রশ্ন ব্যতীত অপর কোন প্রশ্নের উত্তর দেয় না । যদি তখন তাঁহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করা যায়, তবে সে নিশ্চল ও নিরুত্তর থাকে ; কিন্তু উহা পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করিলে অস্পষ্টভাবে কয়েকটি ফুৰ্ব্বোধ্য বাক্য উচ্চারণ করিয়া থাকে মাত্র। ইহাতে বোধ হয়, যেন সে এখনও সন্তোষ জনক উত্তর দিবার অবস্থায় উপনীত হয় নাই, সুতরাং কি উত্তর দিবে তাহ স্থির করিয়া উঠিতে পারে নাই। এই লক্ষণটি তাহার গভীরতর মোহ নিদ্রীয় পৌছিবার ক্ষমতা সুচক । তৎপরে পাত্রের নিদ্রা আরও গভীর হইলে সে যে অবস্থায় উপনীত হয়, উহাকে কেহ কেহ “অচেতন চৈতন্যাবস্থা (unconscious consciousness) বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। এই বস্থায় পাত্র ९९*