পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাত্রের মোহ নিদ্র উৎপাদন ম্পর্শযুক্তভাবে অবস্থান করিবে। এই অবস্থায় কয়েক মিনিট অবস্থান করণাস্তর ডান হাত দ্বারা পাত্রের ঘাড়ের গ্রন্থি হইতে আরম্ভ করিয়া পিঠের উপর দিয়া মেরুদণ্ডের শেষ সীমা পর্য্যন্ত স্পর্শহীন ভাবে ক্ষুদ্র বা স্থানীয় পাস দিবে এবং বাম হাত দ্বারা মাঝে মাঝে তাহার কপাল, চক্ষু ও গাল অর্থাৎ মুখমণ্ডলের উপর এক একটি পাস দিবে। তারপর হাটুর স্পর্শ অপসারিত করিয়া তাহার মস্তকের পশ্চাতাদ্ধের নিম্ন হইতে আরম্ভ করিয়া মেরুদণ্ডের শেষ সীমা পৰ্য্যন্ত একটি নিঃশ্বাস ফেলিবে । যে পর্য্যন্ত পাত্রের চক্ষুর পাতা আংশিক ভাবে অবনত বা বন্ধ হইয়া তাহার শরীরে ঈষৎ কম্পন আরম্ভ না হয়, ততক্ষণ পর্য্যন্ত কাৰ্য্যকারক উক্ত প্রণালী প্রয়োগ করিতে থাকিবে । তৎপরে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা আকর্ষণী স্পর্শ স্থাপন পূর্বক “সুম” বলিয়া তাহাকে চোখ বুজিতে আদেশ করিবে। যে পৰ্য্যন্ত তাহার শরীরে উক্ত কম্পন বৰ্দ্ধিত না হয়, এবং তাঁহার ফলে সে সমতা হারাইয়া দাড়াইয়া থাকিতে অসমর্থ না হয়, ততক্ষণ তাহীকে পুনরায় পাস দিতে থাকিবে । এই নিয়মটি প্রয়োগ করিবার সময় কাৰ্য্যকারক অত্যন্ত সতর্ক থাকিবে যে, যদি পাত্রের পিছনের দিকে পড়িয়া যাইবার উপক্রম হয়, তবে সে তৎক্ষণাৎ তাহাঁকে দৃঢ়ৰূপে ধরিয়া রাখিবে । তখন সে নিজের হাত দুইখানা পাত্রের পিঠের উপর স্থাপন করিলে সে স্থির হইবে । তৎপরে তাহার পিঠের উপর দুই হাত দ্বারা পুনরায় পাস দিবে এবং তৎসঙ্গে ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগ করিবে যে, পাত্র তাহার হাতের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া পিছনের দিকে পড়িয়া যাউক । এরূপ করিলে সে গভীর মোহ নিদ্রীয় অভিভূত হইয়া সম্মোহনবিদের বাহুর উপর পড়িয়া যাইবে। Հ8Վ)