পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা শক্তি চালনা করিবে। কোন কোন ক্ষেত্রে পাত্রকে চক্ষু বুজিতে বলিয়া নিম্ন গামী পাস দ্বারা উহাদিগকে বন্ধ করিয়া দিলে, শীঘ্ৰ ফল লাভ হয়। কার্য্যকারক এই নিয়মগুলি সৰ্ব্বত্র ধীরভাবে প্রয়োগ করিবে, কখনও তাড়াতাড়ি করিবে না। যখন পাত্রের উক্ত লক্ষণ সকল প্রকাশ পাইয়াছে, তখন সম্মোহনবিৎ উভয় হাতের আঙ্গুলগুলি প্রসারণ করতঃ তাহার মাথা হইতে আরম্ভ করিয়া উভয় বাহুর ভিতর ও বাহিরের দিকের উপর দিয়া আঙ্গুল পৰ্য্যন্ত এবং তৎপর আবার কপাল হইতে আরম্ভ করিয়া নীচের দিকে পাকস্থলীর মূল ও হাটু পর্যন্ত, আস্তে আস্তে স্পর্শহীন স্থানীয় ও দীর্ঘ পাস দিবে। পাত্র বাহ্যতঃ নিদ্রাভিভূত না হওয়া পৰ্য্যন্ত উত্তমরূপ পাস দিতে থাকিবে । যদি সম্মোহনবিং প্রথম চেষ্টাতে কৃতকাৰ্য্য না হয়, তবে সে উপযুপিরি কয়েকদিন তাহার উপর চেষ্টা করিবে এবং পরবর্তী চেষ্টাগুলি এমন ভাবে করিবে, যেন সে পূৰ্ব্বে কখনও অকৃতকার্য হয় নাই। সে একবার কাহাকে ও মোহিত করিতে পারিলেই তাহার শক্তি বৃদ্ধি পাইবে এবং ক্রমে ক্রমে সে অধিক সংখ্যক লোক মোহিত করিতে সমর্থ হইবে । সে পাত্রের নিদ্রার সন্তোষজনক প্রমাণ পাওয়ার, তৃতীয় বৈঠক পর্য্যন্ত তাহার উপর কোন পরীক্ষা করিবে না। প্রত্যেক বৈঠকে তাহাকে কিছুক্ষণ নিদ্রা উপভোগ করিতে দিয়া, আস্তে আস্তে জাগ্রত করিয়া দিবে ; কখনও এই বিষয়ে তাড়াতাড়ি করিবে না । কারণ তাহ। করিলে, সে হয়ত একটি উত্তম পত্রিকে চিরকালের জন্ত নষ্ট করিয়া ফেলিতে পারে। সে পাত্রের সম্মুখে বা পশ্চাতে দাড়াইয় তাহীর মুখ মণ্ডলের সাম্নে প্রথম আস্তে আস্তে, পরে তাড়াতাড়ি স্পর্শহীন" উৰ্দ্ধগামী ૨(t ૦