পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা পাস বা আঘাত করিতে চেষ্টা পাই, তবে সম্ভবতঃ ইহা রোগী বা পাত্রের শরীরে কোন ফলই উৎপাদন করিবে না । যদি ইহা রোগীর শরীর স্পর্শ করিয়া দেওয়া যায়, তবে উহাকে *স্পর্শ যুক্ত হস্ত সঞ্চালন” আর স্পর্শহীন ভাবে করিলে উহাকে “ম্পর্শহীন হস্ত সঞ্চালন” বলে। স্পর্ণযুক্ত পাস আবার দুই প্রকার। যথা—জোর আঘাত ও মৃদু আঘাত। কঠিন স্পর্শযুক্ত হস্ত সঞ্চালন নিশ্চয়ই খুব প্রাচীন এবং অত্যন্ত সাৰ্ব্বজনীনভাবে ব্যবহৃত প্রণালী । --- আমার অভিজ্ঞতায় ইহা উপলব্ধি হইয়াছে যে, স্পর্শহীন ও মৃদু স্পর্শ, যুক্ত হস্ত সঞ্চালন দ্বারাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ফল লাভ হইয়া থাকে। উত্তম শ্রেণীর পাত্র এবং সংব্লেন্ত রোগীদিগকে অন্ত কোন প্রকার চিকিৎসা করিলে, তাহাঁদের স্নায়বিক ও মস্তিষ্কের উত্তেজন অন্যায়রূপে উদ্রেক করিয়া থাকে । সুতরাং যদি পাসের উদ্দেশ্য নিদ্রাকর্ষণ, বেদন উপশম ও রোগ আরোগ্য হয়, তবে ইহা অবশু পরিত্যাগ করিবে । সপ্তম নিয়ম মিঃ ডিলুজ এর প্রণালী ] পাত্রকে একখান চেয়ারে যথা সম্ভব আরামের সহিত বসাইয়। সন্মোহনবিং তাঁহার সম্মুখে মুখামুখি হইয়া অপেক্ষাকৃত আর একখান উচ্চ চেয়ারে এমন ভাবে বসিবে যেন, তাহার হাটুদ্বয় কাৰ্য্যকারকের হাটু দুইটির মধ্যে এবং কাৰ্য্যকারকের পায়ের পাতা দুইটি পাত্রের দুই পায়ের পাতার মধ্যে স্থাপিত হয়। এখন পাত্র সম্মোহনবিদের নিকট ২৫২