পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা করিতেছ?” কিম্বা, “তুমি কি আমার কার্য্য-প্রণালী সম্বন্ধে আমাকে কোন উপদেশ দিবার অবস্থায় পৌঁছিয়াছ ?” অথবা, “তুমি কি এখন চিন্তা-পঠন বা দিব্যদৃষ্টি সম্বন্ধীয় কোন পরীক্ষার জন্ত প্রস্তুত আছ ?” এইরূপ প্রশ্ন জিজ্ঞাসার পর তাহার উত্তরের জন্ত অপেক্ষা করিবে। যদি তাহীর উত্তর দিতে বিলম্ব হয়, তবে উহাদের পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি দ্বারা তাহার শান্তি ভঙ্গ করিবে না। কারণ তাহীতে সে বিরক্ত হইতে পারে । আর যদি দে আদৌ কোন উত্তর না দেয়, তবে সে তখনও গভীর মোহ নিদ্রাচ্ছন্ন হয় নাই বলিয়া বুঝিবে। সুতরাং তখন তাহাকে আরও কয়েকটি পাস দিবে এবং পুনৰ্ব্বার ঐরূপ প্রশ্ন করিবে। অনেক সময় পাত্র কার্য্যকারকের এই সকল প্রশ্নের উত্তরে, যে প্রণালীতে কাৰ্য্য করিলে তাহার নিদ্রা গাঢ়তর বা তাহার শক্তি বিকশিত হইবে, তাহ বলিয়া দিয়া থাকে । কাৰ্য্যকারক পাত্রের নিকট হইতে ঐরূপ কোন উপদেশ পাইলে, সে অবশ্য তদনুযায়ী কাৰ্য্য করিবে ; তাহাতে সে সহজে সাফল্য লাভে সমর্থ হইবে। পাত্র উক্ত প্রশ্নগুলির সম্মতি সূচক জবাব দিবার পর, প্রথম তাহার উপর চিন্তা-পঠন বিষয়ক পরীক্ষার চেষ্টা পাইবে। পাত্রের চিন্তা-পঠন শক্তি বিকাশ করণ এই বিষয়ের পরীক্ষা আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে সম্মোহনবিং পত্রিকে বলিয়া রাথিবে যে, সে ( নিজে ) ১ হইতে ৯ পর্য্যন্ত সংখ্যাগুলির মধ্যে কোন একটি সংখ্যা চিন্তা করিবে এবং তাহাকে ( পাত্রকে ) তাঁহা বলিয়া দিতে হইবে। তৎপরে সে নিজের ইচ্ছামত কোন একটি সংখ্যার চিত্র মনের মধ্যে আঁকিয়া এরূপ ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগ করিবে যে, ঐ সংখ্যার চিত্রটি ২৬২