পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা যদি তখন তাহীর চিন্তা-সূত্র ছিন্ন হইয়া যায়, তবে পাত্ৰ চলিতে চলিতে হঠাৎ থামিয়া যাইবে, এবং পুনরায় উহার ঠিক ভাবে প্রেরণ না হওয়া পর্য্যন্ত সেইখানেই দাড়াইয়৷ থাকিবে । এই শ্রেণীর পরীক্ষার পূৰ্ব্বেও কথিত নিয়মে পাত্রের কপালের উপর পাস দিতে হয় । পাত্রের দিব্যদৃষ্টির বিকাশ করণ সম্মোহনবিং পাত্রের চিন্তা-পঠন শক্তির সন্তোষজনক প্রমাণ পাইবার পর, তাহার দিব্যদৃষ্টি বিকাশের প্রয়াস পাইবে এবং তজ্জন্ত সে উক্ত প্রণালীই অবলম্বন করিবে। কিন্তু চিন্তা-পঠনের পরীক্ষার সময় যেমন সে স্বীয় চিন্তা দ্বারা পাত্রকে চালিত করিয়াছে, দিব্যদৃষ্টি বিকাশ করিতে কদাপি তাহা করিবে না । চিন্তু,পঠনে পাত্র কার্য্যকারক বা অপরের মনের ভাব তড়িত বাৰ্ত্তার দ্যায় গ্রহণ করতঃ উহ! প্রকাশ বা কার্য্যে পরিণত করিয়া থাকে, আর দিব্যদৃষ্টিতে সে জড় দর্শনেন্দ্রিয়ের সাহায্য ব্যতিরেকে নিকট বা দূরের বস্তু বা ঘটনা মনশ্চক্ষু দ্বারা দর্শন বা প্রত্যক্ষ করিয়া থাকে । অতএব চিন্তা-পঠনে সে যন্ত্রের ন্যায় পরাধীন, আর দিব্যদৃষ্টিতে সম্পূর্ণ স্বাধীন। এই ক্ষেত্রে কার্য্যকারক তাহার কাছে জিজ্ঞাসু মাত্র। চিন্তা-পঠন পরীক্ষার সময় কাৰ্য্যকারক চিন্তাযুক্ত মনে রহিয়াছিল, এখন তাঁহাকে তদ্বিপরীত ভাবে অর্থাৎ ভাবনা-শৃঙ্গ মনে (with a blank mind ) অবস্থান করিতে হইবে ; অন্যথায় সে পাত্রের নিকট হইতে যথার্থ সংবাদ অবগত হইতে পরিবে না। কারণ সে যদি পত্রিকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া তাহার নিকট হইতে নিজের মনের মত একটি উত্তর পাইবার জন্ত অশান্বিত থাকে, তবে তাঁহার সেই মনোভাব বা চিন্তা 象や8