পাত্রের আত্মিক শক্তি বিকাশ করণ মানসিক আদেশের স্থায় তাহার (পাত্রের ) মনে প্রবেশ করিবে এবং সে ( পাত্ৰ ) সম্মোহন বিজ্ঞানের বিধি অনুসারে তাঁহাই বলিতে বাধ্য হইবে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলা যাইতে পারে যে, যদি কাৰ্য্যকারক নিজের হাতে একটা টীকা রাখিয় পত্রিকে এরূপ জিজ্ঞাসা করে, “বলত আমার হাতে কি রহিয়াছে ?” এবং পাত্র উহার উত্তরে “টাকাই” বলিবে এরূপ চিন্তা করে, তবে সে তাহাই বলিতে বাধ্য হইবে । অতএব কাৰ্য্যকারক তাহাঁকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া সম্পূর্ণ" মনে তাহার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করিবে ; যদি সে উপযুক্ত অবস্থায় পৌছিয়া থাকে, তবে সে স্বীয় আত্মাববোধ (intuition ) হইতে যাহা উত্তর দিবে, তাছা ঠিক হইবে। মুতরাং কাৰ্য্যকারক এই সময় তাহীকে যে সকল বিষয় জিজ্ঞাসা করিবে, তাহ সৰ্ব্বোতোভাবে প্রশ্নবোধক হইবে ; কখনও আদেশাত্মক কোন ভাব উহাতে থাকিবে না। সময় সময় দক্ষ সম্মোহনবিদগণেরও প্রশ্নের এই দোষে আত্মিকাবস্থায় উপনীত পাত্রের প্রদত উত্তরও মিথ্যা বলিয়া প্রমাণিত হয় । পাত্র খুব গভীর মোহ নিদ্রায় অভিভূত হওয়ার পর কার্য্যকারক তাহার মুখমণ্ডলের উপর কয়েকটি পাস দিয়া জিজ্ঞাসা করিৰে—“তুমি কি এখন (তোমার চক্ষু বন্ধ অবস্থায়) আমাকে দেখিতে পাইতেছ?” কিম্বা “আমার হাতে কি আছে, তাহ কি তুমি বলিতে পার ?” যদি সে সম্মতি স্থচক উত্তর দেয়, তবে তাহার উপর নিম্নোক্ত পরীক্ষাগুলি সম্পাদন করিবার প্রয়াস পাইবে । আর যদি সে উত্তর না দেয়, বা অস্বীকার করে, তবে তাহার নিদ্রা আরও গভীর করত; আবার 2 করিবে। পাত্রের নিদ্রা যখনই গভীর হইতে গভীরতর করিবার ২৬৫
পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।