পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা আবগুক হইবে, তখনই "ঘুম—গভীর নিদ্রা-গাঢ় নিদ্র” এইরূপ দুইএকবার মৌখিক আদেশ এবং তৎসঙ্গে পাস দিবে। তৎপরে তাহার সম্মতি স্বচক উত্তর পাওয়ার পর, কার্য্যকারক একখান হাত নিজের মাথা, গল, বুক, কাধ বা অন্য কোন স্থানে রাখিয়া জিজ্ঞাসা করিবে—“বলত, আমার হাত খান এখন কোথায় রহিয়াছে ?” যদি সে ঠিক উত্তর দিতে সমর্থ হয়, তবে তাহার উপর এই মত আরও কতকগুলি পরীক্ষা করিবে । এরূপ অভ্যাস দ্বারা তাহার শক্তি আরও স্ফরিত হইলে, কাৰ্য্যকারক ঐ ঘরের এক স্থান হইতে অন্তস্থানে গমন কিম্বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কোন প্রকার চালনা করিলে, সে তাহা বলিয়া দিতে পরিবে । এখন কাহার ঘড়িতে কয়টা বাজিয়াছে ?” সেই স্থানে কয়জন লোক উপস্থিত আছে ? কোন ব্যক্তির নিকট কি কি জিনিষ রহিয়াছে ? উপস্থিত ব্যক্তিদের পোষাকপরিচ্ছদ কি রূপ ? ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করিবে । যখন সে এই সকল প্রশ্নেরও ঠিক উত্তর দিতে পরিবে, তখন তাহার শক্তির বেশ স্ফুরণ হইয়াছে বলিয়া বুঝিবে। এখন সে পাশের ঘরে বা বাড়ীতে কিম্ব রাস্তার উপর কি ঘটতেছে না ঘটতেছে, তাহাও যথার্থরূপে বলিয়া দিতে পারবে। তৎপরে সে দূর-দূরান্তরের বস্তু, বিষয় বা ঘটনাও সবিস্তারে ঠিকৰূপে বর্ণনা করিতে সমর্থ হইবে। স্থানের দূরত্ব বা মধ্যবৰ্ত্তী পদার্থ সকলের বিদ্যমানত বা অবস্থিতি, অীর তখন তাহার শক্তির বাধা জন্মাইতে পরিবে না । তখন কাৰ্য্যকারক তাহাকে ভূত এবং ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সহজ সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলে সে তাহার যথার্থ উত্তর দিতে পারিবে । যে সকল পাত্রের আত্মিক সংবেদন অত্যন্ত অধিক, তাহদের কেহ কেহ চতুর্থ স্তর হইতে সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে পঞ্চম স্তর বা উচ্চাবস্থায় 〉や〈。