সম্মোহন বিদ্যা বোধ হইবেন ; তোমার হাত খান এখন সম্পূর্ণরূপে বোধ শূন্ত হইয়া, গিয়াছে।” দুই-তিন বীর এইরূপ আদেশ করার পর, ঐ স্থানে প্রথম আস্তে আস্তে একটা স্থচ বিধাইয়া দিবে। যদি উহাতে তাহার যন্ত্রণ বোধ না হয়, তবে উহাকে আরও গভীর ভাবে বিধাইয়া দিবে। যদি ঐরূপ করাতেও তাহার যন্ত্রণ না হয়, তবে তখন উপস্থিত ডাক্তারকে অস্ত্রোপচার করিতে বলিবে । অস্ত্র করিবার সময় ও মাঝে মাঝে উক্তরূপ আদেশ দিবে। অস্ত্রোপচারের পর নিম্নোক্তরূপ আদেশ প্রদান করিলে, রোগী জাগ্রত হওয়ার পরেও কোনরূপ জ্বালা-যন্ত্রণ। অনুভব করিবে না এবং তজ্জন্ত তাহার মনে কোনরূপ ধাক্ক ব৷ আঘাত ( shock ) লাগিবীর সম্ভাবনা থাকিবে না। বলিবে— “এখন আমি তোমাকে জাগ্রত করিয়া দেওয়ার পর, অস্ত্রোপচার জনিত তোমার কোনরূপ জ্বালা-যন্ত্রণ বোধ হইবে না, অথব{ তজনিত তোমার মনে কোনরূপ ধাক্কা বা আঘাত লাগিবে না। উহাতে তোমার শরীর বা মনে বিন্দুমাত্র ও মন্দ ক্রিয় হইবে না। তুমি জাগ্রত হওয়ার পর খুব স্থস্থত ও সবলতা অনুভব করিবে এবং তোমার ঘাও খুব শীঘ্র শীঘ্র আরোগ্য হইয়। যাইবে।” সম্মোহন নিদ্রাপেক্ষ মোহ নিদ্রাতেই বোধরহিতাবস্থা সহজে উৎপাদিত হয় । হিপ্নেটিজমের প্রণালীতে এই অবস্থ৷ উৎপাদন করিতে পুনঃ পুনঃ আদেশ দিতে হয়, কিন্তু মেস্মেরিক পাত্রকে তাহ দিবার আবগুক হয় না । সে মোহ নিদ্রার তৃতীয় স্তরে উপনীত হইলেই তাহার শরীরে তখন কাটা বা সুচ বিধাইলে, কিম্বা ছোট বা বড় অস্ত্রোপচার ミbr&
পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।