পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা জাগ্রত বা স্বাভাবিক অবস্থায় জ্ঞানতঃ ও ইচ্ছাপূর্বক যে সকল শারীরিক বা মানসিক কাৰ্য্য সম্পন্ন করে, সে গুলি সমস্তই তাহার বহিমনের। অন্তর্মন বিচার শক্তিহীন। এজন্য এই মন বহির্মনের স্থায় ভাল-মন্দ, স্তায়-অষ্ঠায় ইত্যাদি বিচার করিতে পারে না । ইহার সর্বপ্রধান গুণ বা ধৰ্ম্ম কোনরূপ আপত্তি না করিয়া আদেশ পালন করা এবং উহার ইচ্ছ বা প্রবৃত্তি অনুসারে মানুষকে পরিচালিত করা। এই মন বিচার শক্তিহীন বলিয়া ইন্দ্রিগণের দ্বারা প্রত্যক্ষীভূত বা জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেকের দ্বারা প্রমাণিত কোন বস্তু বা বিষয়ের বিরুদ্ধেও উহাকে কোন-কিছু স্বীকার বিশ্বাস অথবা কোন কাৰ্য্য করিতে প্রবৃত্ত করা যায়। যদি কোন প্রকৃতিস্থ ব্যক্তিকে একখানা পুস্তক দেখাইয়া, উহাকে বাঘ বলিয়া স্বীকার বা বিশ্বাস করিতে বলা হয়, তবে সে কখনও উহা করিবে না; যেহেতু তাহার বিচারশক্তি বিশিষ্ট বহিৰ্মন উহা করিতে দিবে না। বহির্মনের ধৰ্ম্ম বিচার করা, সুতরাং এস্থলে এই মন দর্শনেন্দ্রিয়ের সাহাধ্যে বিচার করিয়া দেখিবে যে, উহা সত্য নহে, অর্থাৎ উহা বাঘ নয়,—একথানা পুস্তক। কিন্তু আবার সেই ব্যক্তিকেই সন্মোহন নিদ্রায় অভিভূত করিয়া ঐ পুস্তকখানাকে বাঘ বলিয়া স্বীকার বা বিশ্বাস করিতে বলিলে, সে তখন তাঁহাই করিবে। যেহেতু তখন সে তাহার বিচার-শক্তিহীন অন্তর্মন কর্তৃক চালিত হইতেছে । এই মন বিচার-শক্তিহীন ও বিশ্বস্ত ভূত্যের স্তায় আজ্ঞা বহু বলিয়া, সে উহা বিশ্বাস করিবে এবং হঠাৎ বাঘ দেখিলে লোক যেরূপ ভীত ও বিচলিত হয়, সে ব্যক্তিও ঐ পুস্তকখান দেখিয়াই তদ্রুপ ভীত ও পলায়নপর হইবে । মানুষ স্বাভাবিক ও সন্মোহর্ম নিদ্রায় এবং ৩৬