পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা কাৰ্য্যকরী শক্তি অপেক্ষাকৃত অনেক বেশী । কেহ এক ব্যক্তিকে কোন একটি কায করিতে অনুরোধ করিলে, সে উহা করিতে পারে, কিম্বা নাও করিতে পারে ; কিন্তু তাহাকে সম্মোহিত করণান্তর আদেশ প্রদান করিলে, সে অবশ্ব উহা করিতে বাধ্য হইয় থাকে। কাহাকেও কোন একটি বস্তু বা বিষষের দোষ-গুণ স্বীকার বা বিশ্বাস করাইতে হউক, অথবা কঠিন বা সহজ কোন কাৰ্য্য করাইবার জন্য প্রবৃত্তি জন্মাইতে হউক, যথোপযুক্ত রূপে আদেশ প্রদান করিতে পারিলে উহ। তাহার জাগ্রদবস্থায়ও । কাৰ্য্যকর হইয়া থাকে। প্রখর আদেশের শক্তি অনিবাৰ্য্য ; আজ বা কাল হউক, অথবা দুই মাস পরেই হউক, উহা নিশ্চিতরূপে অশানুরূপ ফল প্রসব করিয়া থাকে । অতীতকালে যে সকল প্রতিভাশালী ব্যক্তি কৰ্ম্ম জগতের কোন বিভাগে বিশেষ প্রাধান্ত লাভ করিয়াছিলেন, তাহীদের ব্যক্তিগত গুণ ও ক্ষমতার মধ্যে প্রখর আদেশ দ্বারা মানুষকে বশীভূত করিবার শক্তি অত্যধিক পরিমাণে বিদ্যমান ছিল । বর্তমান যুগেও এইরূপ শক্তিশালী স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা নিতান্ত অল্প নহে, যাহাঁদের প্রবল ইঙ্গিত বা মাদেশে শত শত লোক ক্রীড়া-পুত্তলীর দ্যায় প্রতিনিয়ত পরিচালিত হইতেছে। ইতঃপূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, আমরা তিনটি বিভিন্ন প্রণালীতে আদেশ প্রদান করিতে পারি। যথা—বাক্য, চিন্তা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদির বিশেষ ভাবভঙ্গী দ্বারা । যাহার সহিত স্বাধীনভাবে আলাপ করিবার সুবিধা হয়, তাহাকে মৌখিক আদেশ, আর যাহার সহিত কথা-বাৰ্ত্তার কোন সুবিধা নাই, তাহাকে মানসিক আদেশ প্রদান করিতে হয় । মৌখিক আদেশের সহিত মানসিক আদেশ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভাঝভঙ্গ পূর্ণ 88.