পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পাঠ চক্ষুর মোহিনী শক্তি উপযুক্তরূপে সম্মোহন আদেশ প্রদানের ক্ষমতা লাভের সঙ্গে, শিক্ষার্থী তাহার দৃষ্টি বা চাহনিকে স্থির ও প্রখর করিবে। যদিও মানুষকে কেবল আদেশ দ্বারাও সম্মোহিত করা যায়, তথাপি তাহার সম্মুখীন হইয়া তাহাকে বশীভূত করিতে, প্রথম সম্মোহন আদেশ শক্তির এবং তৎপরেই চক্ষুর মোহিনী শক্তির সাহায্য গ্রহণ করিতে হয় । ফলতঃ চক্ষুর যে মোহিনী শক্তি আছে, তাহা সৰ্ব্বত্র সুবিদিত। কৰ্ম্মানুরোধে শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত যে সকল লোকের সংস্রবে আসিতে হয়, তাহদের মধ্যে স্বভাবতঃ যাহাদের দৃষ্টির এই মোহিনী শক্তি আছে, অর্থাৎ যাহারা স্থির ও প্রখর দৃষ্টিতে তাহার দিকে তাকাইয় আপনাপন বক্তব্য বিষয় ব্যক্ত করিতে পারে, তাহীদের নিকট সে সহজেই বশীভূত হইয় পড়ে। এরূপ ঘটনা সে কখনও লক্ষ্য না করিতে পারে, কিন্তু ইহা সত্য কথা। আর যদি লক্ষ্য করিয়া থাকে, তাহা হইলে হয়ত মনে করিবে যে, তাহার ‘চক্ষুলজ্জা বশতঃই সে তাঁহাদের ‘অনুরোধ রক্ষা করিতে বাধ্য হইয়াছে । কিন্তু উহা কি বাস্তবিক ‘চক্ষুলজ্জা’ ?—ন মনের দুৰ্ব্বলতা ? ৰে মানসিক দুৰ্ব্বলত্ত বশতঃ সে নিৰ্ব্বোধের মত, তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন কি, অনেক স্থলে বিবেকের বিরুদ্ধেও তাহীদের আদিষ্ট কাৰ্য্য সম্পাদন 8や2