পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্ষুর মোহিনী শক্তি করিতে বাধ্য হইয়াছে ? অনভিজ্ঞ লোকেরা যাহা চক্ষুলজ্জা’ বলিয়া মনে করে, অভিজ্ঞ মনোবিজ্ঞানবিদগণ তাহ ‘মনের দুৰ্ব্বলতা’ বলিয়া নির্দেশ করেন। আর যাহা সে ‘অনুরোধ’ বলিতে চায়, তাহীও বাস্তবিক অনুরোধ নহে,- তাহদের প্রবল আদেশ ;-যাহার অন্তর্নিহিত গুপ্তশক্তি তাহাকে বশীভূত করিয়া, তাহীদের অভীপিত কাৰ্য্য সম্পাদনে বাধ্য করিয়াছে। যে সকল ব্যক্তি কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকাইয়া থাকিতে পারে না এবং ঘন ঘন চক্ষু বুজে কিম্ব চক্ষুর পাতা উঠা-নমা করে, তাহাদের দৃষ্টির কোন বিশেষত্ব নাই। এরূপ দৃষ্ট কখনও কাহাকে বশীভূত করিতে পারে না। সুতরাং যথোপযুক্ত অভ্যাস দ্বারা শিক্ষার্থীর দৃষ্টি স্থির ও প্রখর করিতে হইবে। চক্ষুর মোহিনী দৃষ্টি অনেক প্রকারে বন্ধিত করা যায়। কেহ কেহ পকেট বা হাত ঘড়ির চলন্ত কাটার উপর, কেহ বা সাদা দেওয়ালে রূপার দোয়ানীর আকারে একটি কাল বৃত্ত চিত্রিত করিয়া তাহার উপর, আবার কেহ বা হাতের তালুতে খুব চকুচকে একটি সিকি বা আধুলি রাখিয়া উহার উপর দৃষ্টি স্থির করণ’ অভ্যাস করিয়া থাকে। কিন্তু ইহাদের মধ্যে নিম্নোক্ত প্রণালীটিই আমার সৰ্ব্বাপেক্ষ ভাল বলিয়৷ বোধ হয়। যেহেতু, উহা দ্বারা দৃষ্ট স্থির করণ’ এবং অপরের মোহিনী দৃষ্টির কার্য্য প্রতিরোধ বা বিফল করিবার শক্তি লাভ হইয়া থাকে। এজন্ত আমি শিক্ষার্থীকে উহা অভ্যাস করিতেই পরামর্শ দিতেছি। অবশু, উল্লাহ অভ্যাস করিতে যদি কাহারও কোন অমুবিধা হয়, তবে সে, তাহার ইচ্ছামত পূৰ্ব্ব কথিত প্রণালী সমূহের যে কোন একটি অবলম্বন করিতে পারে। 8