পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাগ্রদবস্থায় মোহিত করণ অধিক একাগ্র হইয়াছে, তখন অত্যন্ত গম্ভীর ও আদেশস্থচক স্বরে বলিবে— “তোমার হাত দুইখান একেবারে জুড়ে গেছে—তুমি কিছুতেই আর উহাদিগকে খুলিতে পরিবেন—তুমি হাত খুলিতে যত অধিক চেষ্টা করিবে, উহারা ততই শক্ত—দৃঢ় ও কঠিনরূপে জোড়া লাগিয়া থাকিবে—তুমি কিছুতেই খুলিতে পারবে না; —চেষ্টা কর—চেষ্টা কর-খুব চেষ্টা কর—কিছুতেই পরিবেন। —হাজার চেষ্টা করিয়াও পরিবেন—প্রাণপণ চেষ্টা করিয়াও পরিবেন।” এই শেষ আদেশটি দেওয়া হইলে, তাহার হাতের মুঠের উপর পাস দেওয়া বন্ধ করিবে এবং তাহাঁকে হাত খুলিবার জন্ত চেষ্টা করিতে বলিবে। যদি শিক্ষার্থী যথাযথরূপে এই নিয়মের অনুসরণ করিয়া থাকে, তবে সে নিজেই দেখিয়া আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইবে যে, পাত্রের হাত দুইখানা বাস্তবিক অত্যন্ত দৃঢ়ৰূপে জোড়া লাগিয়া গিয়াছে এবং সে সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াও উহাদিগকে খুলিতে পারিতেছে না। সে দুই-এক মিনিট চেষ্টা করিয়া হাত খুলিতে ন পারিলে, একাদশ পাঠের উপদেশমুসারে তাহাকে প্রকৃতিস্থ করিয়া দিবে—অর্থাৎ তাহার হাত খুলিয়া দিবে। আর যদি তাহার হাত বন্ধ না হইয়া থাকে,তবে এই নিয়মটি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসরণ করত: তাহার উপর দ্বিতীয় কিম্ব তৃতীয় বার চেষ্টা করিবে । চতুর্থ পরীক্ষা—পাত্রের চক্ষুর পাতা জুড়িয়া দেওয়া যাহার হাত খুব তাড়াতাড়ি জুড়িয়া যায়, শিক্ষার্থ তাহার উপরই নিম্নোক্ত পরীক্ষাটি সম্পাদন করিবার চেষ্ট পাইবে । পাত্রের ছাত ছুইখানা দুই পাশ্বে ঝুলাইয়া দিয়া এবং পা দুইখানা জোড়া করিয়া ዓ»