পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা তাহাকে সরল ভাবে দাড় করাইবে। তৎপরে তাহাকে চক্ষু বুজিয়া খুব মনোযোগের সহিত নিম্নোক্তরূপ চিন্তু করিতে বলিবে । যথা—“আমার চক্ষু জুড়িয়া যাইতেছে এবং আমি কিছুতেই উহাদিগকে টানিয়া খুলিতে পারিবন"। যখন সে এইরূপ চিন্তা করিতে আরম্ভ করিয়াছে, তখন কাৰ্য্যকারক তাহার সম্মুখে দাড়াইয়া, তাহার নাসিক-মূলে খুব স্থির ও প্রখর দৃষ্টি স্থাপন করতঃ উভয় হাত দ্বারা তাহার সেই মুদিত চক্ষু দুইটির উপর আস্তে আস্তে পাস করিতে আরম্ভ করিবে এবং তৎসঙ্গে মুম্পষ্ট, গম্ভীর ও আদেশস্থচক স্বরে বলিবে—“তোমার চোখের পাতা দৃঢ়রূপে জোড়া লাগিয়া যাইতেছে,-তুমি আর তোমার চোখের পাতা টানিয়া খুলিতে পারবেন। —উহার খুব দৃঢ়ৰূপে-আরও কঠিনরূপে জুড়িয়া যাইতেছে এবং তুমি কিছুতেই উহাদিগকে টানিয়া খুলিতে পরিবেন! ;-তুমি উহাদিগকে খুলিতে যতই চেষ্টা করিবে, উহার ততই দৃঢ় ও কঠিনরূপে বন্ধ হইয়া থাকিবে—তুমি হাজার চেষ্টা করিয়াও উহাদিগকে খুলিতে পরিবেন! ;-প্রাণপণ চেষ্টা করিয়াও পরিবেন” । তিন-চার বার এইরূপ আদেশ দেওয়ার পর, অপেক্ষাকৃত গম্ভীর ও আদেশস্থচক স্বরে বলিবে—“তোমার চক্ষুর পাতা গুলি একদম জুড়িয়া গিয়াছে এবং তুমি আর উহাদিগকে টানিয়া খুলিতে পরিবেন। — তুমি যতই চেষ্টা করিবে, উহার ততই দৃঢ় ও কঠিনরূপে বন্ধ হইয়া থাকিবে;–চেষ্টা কর—চেষ্টা কর–আরও চেষ্টা কর— কিন্তু কিছুতেই পরিবেন!—কখনও পরিবেন।” তাহার চক্ষু বন্ধ হইলে পর তাহাকে একাদশ পাঠের নিয়মে প্রকৃতিস্থ করিয়া দিবে। ৭২