পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাগ্রদবস্থায় মোহিত করা সম্বন্ধে বিশেষ উপদেশ হইলে সন্মোহনবিদের নিকট হইতে যেরূপ ব্যবহার পাইবার আশা করিবে, সে পাত্রের প্রতি সৰ্ব্বদা ঠিক সেইরূপ ব্যবহার করিবে। কাৰ্য্যকারক সময় সময় এমন লোকের সাক্ষাৎ পাইতে পারে, যাহাঁকে মোহিত হইতে অনুরোধ করিলে, সে হয়ত বলিবে—“আপনার ইচ্ছাশক্তি অপেক্ষ আমার ইচ্ছা শক্তি প্রখর ; সুতরাং আপনি আমাকে মোহিত করিতে পাব্লিবেন না।” এই সকল লোক নিৰ্ব্বন্ধশীলতা বা একজ্ঞায়িতাকে ( একগুয়েমি ) ইচ্ছা শক্তি মনে করিয়া বড় ভুল করিয়া থাকে। তাহদিগকে, মোহিত করা কঠিন হইতে পারে, কিন্তু একজ্ঞায়িত ইচ্ছাশক্তি নহে । যাহারা ইচ্ছাশক্তির গৰ্ব্ব করে, তাহাদের মধ্যে যথার্থরূপে উহার পরিমাণ অতি অল্প । সে তাহাদিগকে বুঝাইয়া বলিবে যে, মোহিতাবস্থা সম্মোহনবিৎ ও পাত্রের ইচ্ছাশক্তির সহযোগিতায় উৎপন্ন হয়—বিরোধে হয় না। সুতরাং যাহারা বলে যে, কেবল দুৰ্ব্বল ব্যক্তিই সবল ব্যক্তি কর্তৃক সন্মোহিত হয়, তাহারা ভ্রান্ত । এই অবস্থা ইচ্ছাশক্তির ংঘর্ষণে উৎপন্ন হয় না বলিয়া এবং প্রখর ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি সহজে মন একাগ্র করিতে পারে বলিয়া সে, অন্তান্ত লোক অপেক্ষা শীঘ্ৰ মোহিত হইয়া থাকে। সম্মোহন আদেশ, হাত বুলান ও দৃষ্টিক্ষেপন সম্বন্ধে যাবতীয় বিষয় যথা স্থানে বিশদরূপে বিবৃত হইয়াছে ; সুতরাং এখানে বিশেষ কিছু বলিবার নাই। উহাদের সম্বন্ধে আসল কথা এই যে, উহাদিগকে তুল্যরূপে প্রয়োগ করিতে হয় । চক্ষু বন্ধের পরীক্ষা ব্যতীত আর সকল পরীক্ষাতেই পাত্র কাৰ্য্যকারকের চোখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকাইয়া থাকিবে এবং যতক্ষণ প্রক্রিয়াটি শেষ না হয়, ততক্ষণ সে সাধ্যমত চোখের সমস্ত প্রকার গতি ԵԳ