পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা কৰ্ম্মেন্দ্রিয়ের সাহায্য আবশুক হয়, সেই ইন্দ্রিয়গুলি নিদ্রিতাবস্থায়ও অল্পীধিক পরিমাণে কার্য্যোপযোগীভাবে সজাগ থাকে। নিদ্রার সময় চক্ষু মুদিত থাকে বলিয়া কেবল দর্শনেক্রিয়ের কার্য্য বন্ধ থাকে, কিন্তু অপরাপর ইন্দ্রিয়গুলি অল্পাধিক পরিমাণে সজাগ ও কৰ্ম্মক্ষম থাকে। নিদ্রিত ব্যক্তির ঘরে কেহ প্রবেশ করিলে সে তাহাকে দেখিতে পায় না বটে, কিন্তু ঐ ব্যক্তি যদি তাহার নাম ধরিয়া উচ্চৈঃস্বরে ডাকে, তাহা হইলে সে উহ শুনিতে পায় এবং তাহার শরীরে কোন কঠিন আঘাত করিলেও উহ অনুভব করিতে পারে ইত্যাদি। আর কৰ্ম্মেন্দ্রিয়গুলি সকল অবস্থাতেই কৰ্ম্মক্ষম বলিয়া উহার কোন কৰ্ম্মের উত্তেজনা পাইলেই কাৰ্য্য করিয়া থাকে। সুতরাং মোহিত ব্যক্তি, কেবল দর্শনেন্দ্রিয়ের কার্য্য ব্যতীত অপরাপর জ্ঞান ও কৰ্ম্মেন্দ্রিয়গুলির সমস্ত কার্যাই সম্পন্ন করিতে সমর্থ। মোহিত ব্যক্তির চক্ষু মুদিত থাকে বলিয়া সে কিছুই দেখিতে পায় না বটে, কিন্তু কাৰ্য্যকারক আবশুক মত উহাদিগকে খুলিয়া দিতে পারে এবং তাহাতে তাহার নিদ্রাভঙ্গ হয় না,—অর্থাৎ আদিষ্ট কার্য্যটি সম্পাদন করিতে যদি তাহার চক্ষুর সাহায্য আবশ্যক হয়, তবে তাহার দ্বারা সেই কাৰ্য্য সম্পাদনের নিমিত্ত সম্মোহনবিং আদেশ দ্বারা তাহার চক্ষু খুলিয়া দিলেও তাহার মোহিতাবস্থা দূরীভূত হয় না। স্বাভাবিক নিদ্রীয় চক্ষু মেলিবার সঙ্গেই ঘুম ভাঙ্গিয়া যায়, কিন্তু সন্মোহন নিদ্রীয় তাহ নাও হইতে পারে। অতএব, এইক্ষণ আমরা আরও পরিষ্কাররূপে বুঝিতে পারিলাম যে, মানুষ জাগ্রদবস্থায় যে সকল কাৰ্য্য করিতে পারে, মোহিতাবস্থাতেও সে, সেই কাৰ্য্যগুলি সম্পাদন করিতে সমর্থ। মোহিত ব্যক্তি যে কেবল জাগ্রত মানুষের স্তায় সমস্ত কাৰ্য্য করিতে পারে এমত নহে, কোন কেনি సిపి