পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাত্রের মনের সংবেদন তাহাদিগকে মোহিত করা কঠিন, আর না হয় তাহার মোটেই সম্মোহিত হয় না। যে সকল স্ত্রী-পুরুষ স্বভাবতঃ সরল বিশ্বাসী অর্থাৎ যাহারা বেশী যুক্তি-তর্কের ধার না ধারিয়া অপরের কোন কথা বা উক্তি সরল ভাবে বিশ্বাস করে, সম্মোহন শক্তির প্রতি তাঁহাদেরই মনের গ্রহণ শক্যতা বেশী এবং তাহারাই অল্পাধিক পরিমাণে অপরের সম্মোহন-শক্তির আয়ত্তাধীন হইয়া থাকে। কোন লোককে সম্মোহন করিবার জন্ত তাহার মনে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সংবেদন থাকা আবশুক । ইহার পরিমাণের অল্পত বশতঃই সকল লোক বশীভূত হয় না । মানুষের শৈশবাবস্থায় এই গ্রহণ-শক্যতা অত্যন্ত প্রখর থাকে ; কিন্তু বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে শিক্ষা ও জ্ঞান লাভ দ্বারা তাহার বিচার-শক্তি বিশিষ্ট বহিৰ্মন পরিস্ফুট ও উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইহা হ্রাস পাইয়া থাকে। এই নিমিত্ত বাল্য, কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ়াবস্থা ও বাৰ্দ্ধক্যে উহা উত্তরোত্তর হ্রাস পায়—অর্থাৎ শিশু অপেক্ষা কিশোর, কিশোর অপেক্ষ যুবক ইত্যাদি ক্রমে অপেক্ষাকৃত অল্প সংবেদ্য। অতএব এই হিসাবে বৃদ্ধগণই সৰ্ব্বাপেক্ষ কম গ্রহণ-শক্তি বিশিষ্ট ; কিন্তু স্বভাবতঃ যাহাঁদের ইহা অধিক, বৃদ্ধ বয়সেও তাহাঁদের যথেষ্ট সংবেদন থাকে। শিশু ও অল্প বয়স্ক বালক বালিকাদিগের ( যে পর্য্যন্ত শিক্ষা দ্বারা তাহীদের বিচারবুদ্ধি বিশিষ্ট বহিমন বিকশিত না হইয়াছে ) উহা সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক পরিমাণে থাকিলেও, মানসিক কিম্বা নৈতিক উন্নতির উদ্দেশু ব্যতীত তাহাদিগকে সম্মোহিত করার কোন প্রয়োজন হয় না ; কারণ তাহারা অত্যন্ত সহজ বগু। অতএব যুবক,প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ, যাহাঁদের শিক্ষা ও জ্ঞান লাভ দ্বারা বহিৰ্মন সমধিক পরিমাণে উন্নত হইয়াছে এবং যাহারা ᎼᏄ