পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা আমাদের বৈষয়িক ও সামাজিক জীবন-সংগ্রামের প্রতিদ্বন্দ্বী, কেবল তাহাদিগকেই বশীভূত করিয়া আমাদের উদেশু সফল করিতে হইবে। এই সকল ব্যক্তিদিগের মধ্যে আনুমানিক ১০ হইতে ৩৯ বৎসর বয়স্ক স্ত্রী ও পুরুষগণই বেশ সংবেদ্য ; সুতরাং শিক্ষার প্রারম্ভে কেবল তাঁহাদের উপরই চেষ্টা করা উচিত । শিক্ষার্থিগণ উপরোক্ত ব্যক্তিদিগের ২৪ জনকে সম্মোহিত করার পর প্রৌঢ় ও বৃদ্ধদিগকে লইয়াও চেষ্টা করিতে পারে ; কিন্তু তাহারা স্বভাবতঃ অল্প সংবেদ্য বলিয়া প্রথম প্রথম তাঁহাদের উপর চেষ্টা করিবে না । পুরুষ অপেক্ষ স্ত্রীলোক স্বভাবতঃ অধিক গ্রহণ-শক্তি বিশিষ্ট নহে ; সুতরাং তাহারা উভয়েই তুল্যরূপে বস্ত । যে সকল স্ত্রী বা পুরুষের চোখ কোটর গত (অর্থাৎ গর্ভের মধ্যে অবস্থিত) এবং ঘন সন্নিবিষ্ট বা নাসা-মূলের খুব নিকটে স্থিত, সম্মোহন শক্তির প্রতি তাহদের সংবেদন অপরাপর লোক অপেক্ষ অধিক । গোলাকার অপেক্ষ দীর্ঘাকার মুখমণ্ডল বেশী সংবেদনার পরিচায়ক । সাধারণ লোকের ধারণ যে দুৰ্ব্বল লোকেরাই মোহিত হয়, সবল লোকদিগকে সম্মোহিত করা যায়ন । এই দুৰ্ব্বলত। যদি মানসিক হয়, তবে উহা সম্মোহনের পরিপন্থী । কারণ দুৰ্ব্বল চিত্ত লোকেরা আদিষ্ট বিষয়ে মনঃ-সংযোগ করিতে পারে না বলিয়া তাহাদিগকে মোহিত করা ষায় না। যাহাদের শরীর দুৰ্ব্বল কিন্তু মন সবল, তাহাদিগকে সহজেই মোহিত করা যায়। আর যাহাঁদের শরীর সবল তাহীদের মন সবল না হইলে, তাহারাও উক্ত কারণে সম্মোহনের অযোগ্য । অতএব সম্মোহনের সহিত শরীরিক সবলতা বা দুৰ্ব্বলতার বিশেষ কোন সম্বন্ধ নাই। উহার সম্পর্ক কেবল মন লইয়। যাহার মন সবল সে শারীরিক হিসাবে Sbo