পাতা:সরল ধাত্রী-শিক্ষা ও কুমার-তন্ত্র - সুন্দরীমোহন দাস.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ সরল ধাত্রী-শিক্ষা সব বন্দোবস্ত করে রাখা যেতে পারে। তবে চল আর দেরি করে কাজ কি? চল তরলাকে দেখে আসি। (উভয়ের প্রস্থান)

(কমলার বাড়ী)

বিমলা। (তরলাকে পরীক্ষা করে না ভাই এর কোন ভয় নেই। তবে এখন থেকে আঁতুড় ঘরের বন্দোবস্তটা ভাল করা চাই। আমাদের দেশে আঁতুড় ঘরের যে রকম ব্যবস্থা, তাতে বােধ হয় প্রসব হওয়াটা একটা ভয়ানক অপরাধ। ঘর খানি আলাদা তৈরী হয়, সে ঘর এত স্যাৎসেতে হয়, যে, লােক তাতে দুদিন থাকলে ব্যামাে হয়। আর যারা আলাদা ঘর করেন না, তাঁরা বাড়ীর ভিতর সব চেয়ে 'খারাপ যে ঘরটি আছে, তাই আঁতুড়ের জন্য বেছে রেখে দেন। সেই রকম ঘরে অন্ধিসন্ধি বন্ধ করে, আললা আর কাঠ জেলে, রক্তে চড় বড় কচ্চে আর দুর্গন্ধ বেরুচ্চে এমন ধারা এক খানা ময়লা ন্যাকড়া পরে,, তারির ভিতর পােয়াতি যখন বাস করে, তখন তার কি মনে হয় না “কি পাপেই বা পােয়াতি হয়েছিলেম” ? মনে কর বাড়ীর বাবু তেতালার উপর বসে টানা বা বিজলী পাখার বাতাস খাচ্ছেন, আর, তার আদরের মেয়ে, নীচের তলায় একটা ছােট ঘরে একটি কচি ছেলে নিয়ে আর একজন মুর্থ দাই নিয়ে আগুন, বোয়া আর দুর্গন্ধের ভিতর কষ্ট পাচ্ছে । একি অধৰ্ম্ম ! এই সেদিন আমাদের ডাক্তার বাবু ঘরে বসে আছেন, এমন সময় একজন কবিরাজ খালি পায়ে হাঁপাতে হাঁপাতে এসে উপস্থিত হয়ে বল্লেন, “ডাক্তার বাবু শীঘ্র আসুন, আমার মেয়েটী ত যায়,” এই বলে তাকে হড় হড় করে টেনে নিয়ে গেলেন। ডাক্তার বাবু সেখানে গিয়ে দেখলেন, আঁতুড়ঘরের দরজা ভেঙ্গে পােয়াতি আর তার দাইকে বারান্দায় বের করা হয়েছে। তাদের রং নীল হয়ে গেছে, আর বারবার খেচুনী হচ্চে। তখন তাদের অনেকক্ষণ