পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

冷● जज्ञल dरुणोसु फ्रेन । হুইবে যে দয়া, প্রেম, স্বল্পতা, স্থলতা, রূপ, রস, গন্ধ,ম্পর্শ, শব্দ প্রভৃতি গুণ সকল বাস্তবিক মায়াময় মাত্র। নিগুৰ্ণ ব্রহ্মে এই সকল প্রাকৃতিক গুণ অধ্যস্ত হইয়া ব্ৰহ্মকে দয়াময়, প্রেমময়, স্বল্প, স্থল প্রভৃতি সগুণ ভাবে ব্যক্ত করে এবং উপাসক এই সকল গুণ অবলম্বন পুৰ্ব্বক তপস্যা দ্বারা ক্রমশঃ নিগুণ আত্মাকে জানিতে পারেন। অতএব সৰ্ব্বকৰ্ম্ম, সৰ্ব্বকাম, সৰ্ব্বগন্ধ, সৰ্ব্বরস, সৰ্ব্বব্যাপী, নিরিন্দ্রিয় অথচ সৰ্ব্বজ্ঞ, এবং নিলিপ্ত ঈশ্বরই আমার আত্মা ; তিনি আমার হৃদয়ের মধ্যে আছেন, তিনি ব্রহ্ম, মৃত্যুর পর তাহাতেই আমি বিলীন হইব, ইহাই নিশ্চয় এ বিষয়ে সংশয় মাত্র নাই। এইরূপ স্থির নিশ্চয় করিয়া ব্ৰহ্মধ্যান করিবে । যে ব্যক্তি এই প্রকারে ব্রহ্মধ্যান করেন তিনি নিশ্চয়ই ব্ৰহ্মনিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হন। মহর্ষি শাগুিল্য ঐরূপে গুণ এবং ক্রিয়া সকলকে অবলম্বন করিয়া ব্ৰহ্মধ্যানের ব্যবস্থা করিয়াছেন। শ্ৰীশ্ৰী চওঁীতে লিখিত আছে— হে দুর্গে ! দুৰ্গতিগ্রস্তজন তোমাকে স্মরণ করিলে তুমি তাহার ভয়নাশ কর। ভয়াদিরহিত ব্যক্তি তোমাকে স্মরণ করিলে তুমি তাহাকে তত্ত্ববুদ্ধি প্রদান কর। হে দ্রারিদ্র্য-দুঃখ-ভয়-হারিণি দেবি ! সকলের উপকার করিবার জন্য তোমার দ্যায় সৰ্ব্বদা আৰ্দ্ৰচিত্ত আর কে আছে ? ঐত্র চওঁীতে অন্যত্র লিখিত আছে— যে দেবী সকল প্রাণীতে মহামায়া, চেতনা, বুদ্ধি, নিদ্রা, ক্ষুধা, ছায়া, শক্তি, তৃষ্ণ, ক্ষান্তি, জাতি, লজ্জা, শান্তি, শ্রদ্ধা, কাস্তি, লক্ষ্মী, বৃত্তি, স্মৃতি, দয়া, তুষ্টি, মাতৃ, ও ভ্রাস্তিরূপে বর্তমান আছেন সেই আস্তাশক্তি জগন্মাতাকে প্রণাম। ইন্দ্রিয়গণ ও মহাভূতগণের অধিষ্ঠাত্রী হইয়া খিনি সৰ্ব্বদ সমস্ত পদার্থে বর্তমান রহিয়াছেন, লেই ব্যাপ্তি দেবীকে প্রণাম । যিনি এই কৃৎস্ন জগৎ ব্যাপিয়া চিৎক্ৰপে বর্তমান রহিয়াছেন, র্তাহাকে প্রণাম। এই প্রকার উপাসনায় গুণযুক্ত বা সোপাধিকভাবে ব্ৰহ্ম উপাসিত হন বলিয়া ইহাকে সগুণোপাসনা বলে। এই সগুণ উপাসনাও দ্বিবিধ—১ম আধিদৈবিক ২য় আধিভৌতিক ।