পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 সরল বেদান্ত দর্শন । বলিয়া আলোচনা করা হয় তখন শাস্ত্র আত্মাকে ঈশ্বর নামে অভিহিত করেন। সুতরাং যদিও ঈশ্বর এবং আত্মা একই তথাপি র্তাহীকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দর্শনহেতু শাস্ত্রের কোন কোন স্থলে ঈশ্বর ব্রহ্ম এবং আত্মা শব্দ ভিন্ন ভিন্ন অর্থে প্রযুক্ত হয়। এই কল্পিত অংশাংশী ভাব অবলম্বন করিয়াই বলা হয় ষে প্রত্যেক বিভিন্ন প্রকৃতির স্বষ্টি স্থিতি লয়কর্তা এক একজন পৃথক, ঈশ্বর। কিন্তু বাস্তবিক ভিন্ন ভিন্ন পৃথক, ঈশ্বর নাই। সেই আত্মা বা ব্ৰহ্মই একমাত্র ঈশ্বর। তিনিই এককালে অসংখ্য প্রকৃতি কল্পনা করিয়া অসংখ্য ঈশ্বর এবং এক অদ্বিতীয় ব্ৰহ্ম বা নিগুণ আত্মাভাবে অবস্থিত ब्रङ्ग्रिोटझ्न । ঈশ্বর ব্ৰহ্ম বা আত্মার অন্ত এক প্রকার কল্পিত অংশাংশী ভাব অবলম্বন করিয়াই শাস্ত্র অনেক স্থলে অসংখ্য জীবাত্মাকে ঈশ্বর ব্রহ্ম বা আত্মার পৃথক পৃথক্ অংশ বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। বাস্তবিক জীবাত্মা অনেক নহে। সেই একই আত্মা ব্ৰহ্ম বা ঈশ্বর জীবের বিজ্ঞান মন ও ইন্দ্রিয় শক্তি সকল এমন ভাবে কল্পনা করিয়াছেন যে জীব যতকাল অবিদ্যাগ্ৰস্ত থাকে ততকাল সে মনে করে যে ভিন্ন ভিন্ন জীবের ভিন্ন ভিন্ন আত্মা আছে । অবিদ্যামুক্ত হইলেই জীব দেখিতে পায় যে জীবাত্মা সকল পৃথক নহে,ভ্ৰম বশতই একই আত্মা ভিন্ন ভিন্ন জীৰাত্মা ভাবে দৃষ্ট হন। আবার ব্ৰহ্ম আত্মা বা ঈশ্বরের অন্ত একপ্রকার কল্পিত অংশাংশী ভাব অবলম্বন করিয়াই শাস্ত্র সমস্ত বাহ ও অন্তর্জগতকে ব্ৰহ্ম ঈশ্বর বা আত্মার অংশ বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন । বাস্তবিক ব্ৰহ্ম আত্মা বা ঈশ্বরের কল্পনা ভিন্ন এই জগতের পৃথক, অস্তিত্ব নাই। সুতরাং মায়াময় জগৎ মায়াধ্যক্ষ ব্ৰহ্ম বা আত্মা বা ঈশ্বরের অংশ হইতে পারে না। কেবল অবিদ্যাবশতই জগৎকে ঈশ্বরের অংশ বলা হয়। আবার এই প্রকারে ব্ৰহ্ম আত্মা বা ঈশ্বরের কল্পিত অংশাংশী ভাব লইয়াই উপাসনার সৌকর্য্যার্থে শাস্ত্র নানাপ্রকার দেব দেবী কল্পনা করত তাহাদিগকে ব্ৰহ্ম, আত্মা বা ঈশ্বরের অংশ বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন, বাস্তবিক ব্ৰহ্ম আত্মা বা ঈশ্বরের অংশ হইতে পারে না । সীমাবদ্ধ মন বুদ্ধি বিশিষ্ট জীব যাহাতে সেই অসীম ব্ৰহ্ম আত্মা বা ঈশ্বরের