পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ প্রবন্ধ। సిసి চেতন, দয়া, প্রেম প্রভৃতি মানসিক গুণযুক্ত, এবং কতক পরিমাণে স্বষ্টি স্থিতি সংহারকর্তৃত্ব, অন্তর্যামিত্ব, নিয়ন্থত্ব, প্রভৃতি ঐশ্বরিক গুণসম্পন্ন। এই সকল ঐশ্বরিক গুণের তারতম্য অনুসারে দেবদেবীগণের পদের তারতম্য কল্পিত হয়। দেবদেবী মাত্রেরই এই সকল মানসিক এবং ঐশ্বরিক গুণ খাকে বলিয়া ঐ গুণগুলিকে দৈবিকগুণ বলা যায়। আবার এই সকল গুণ ব্যতীত রূপ রস গন্ধ স্পর্শ শব্দ প্রভৃতি ভৌতিক গুণও কোন কোন দেবদেবীতে আরোপিত হয়। সুতরাং কতকগুলি দেবদেবী কেবলমাত্র দৈবিক গুণযুক্ত এবং কতকগুলি দেবদেবী দৈবিক ও ভৌতিক এই উভয় গুণযুক্ত। অধিকারভেদে ভিন্ন ভিন্ন সাধকের ভিন্ন ভিন্ন দেবতার উপর ভক্তি হয়। যে দেবতার উপর যে সাধকের সম্যক ভক্তি হয় সেই দেবতা সেই সাধকের ইষ্টদেব। এ বিষয়ে একজন ইদানীন্তন কালের ভক্ত বলিয়াছেন— জেনেছি জেনেছি তারা তুমি জান মা ভোজের বাজী। যে জন তোমায় যে ডাকে ডাকে তাতেই তুমি হও মা রাজী ॥ ৮ মগে বলে ফরা তারা, গড় বলে ফিরিঙ্গী যারা, (মা) খোদ বলে ডাকে তোমায় মোগল পাঠান সৈয়দ কাজী ॥ শাত্তে বলে তুমি শক্তি শিব তুমি শৈবের উক্তি, মে) সোঁরী বলে স্বৰ্য্য তুমি বৈরাগী কয় রাধিকাজী ॥ গাণপত্য বলে গণেশ, যক্ষ কয় (মা) তুমি ধনেশ, শিল্পী বলে বিশ্বকৰ্ম্ম, বদোর বলে নায়ের মাঝি । স্ত্রীরাম দুলাল বলে, বাজী নয় এ জেনো ফলে, এক ব্ৰহ্ম দ্বিধা ভেবে মন আমার হয়েছে পাজী ॥ সাধকের অধিকার ভেদে ইষ্ট দেবের উপাসনা প্রধানতঃ তিন প্রকার। (১) সম্পদুপাসন, (২) প্রতীক উপাসনা এবং (৩) সম্বর্গ উপাসনা। এই তিন প্রকার উপাসনার মিশ্রণে উপাসনার আরও নানা প্রকার ভেদ হইয়। থাকে। সম্পদুপাসনায় ইষ্টদেব অবলম্বন স্বরূপ থাকেন এবং ঈশ্বরই প্রধান ভাবে থাকেন। সুতরাং সাধনা ও শাস্ত্রালোচনা এবং উপাসনা দ্বারা