পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশ প্রবন্ধ । ১২৫ সাধকের এই জীবনেই সমস্ত কামনা ধ্বংস পায় সেই সাধক কামনা বিমুক্ত হুইয়া পরমার্থ তত্ত্ব জানিতে পারেন ও কৃতাৰ্থ হন। প্রশ্নোপনিষৎ বলিয়াছেন— জীবদ্দশায় যে যে বিষয় জীব চিস্ত করে মৃত্যুকালে সেই সেই বিষয়ের চিন্ত জীবগণকে অধিকার করে। তখন জীবের অন্ত সমস্ত বৃত্তি ক্ষীণ হইয়া যায় এবং উক্ত বাসনাময় জীব লিঙ্গশরীরধারী জীবনরূপে অবস্থান করে। অনন্তর যে লোকে উক্ত বাসনা সকলের প্রাধান্ত আছে সেই লোকে উদানবায়ু উক্ত বাসনাময় জীবকে লইয়া যায় এবং সেই লোকে ঐ জীবের জন্ম হয়। সুতরাং ধে সাধক সমস্ত কামনা পরিত্যাগ করিতে পারেন, তাহাকে আর পুনরায় জন্মগ্রহণ করিতে হয় না। tyগীতা বলিয়াছেন – যখন সাধক মনোগত সমস্ত কামনা পরিত্যাগপুৰ্ব্বক বাহলাভনিরপেক্ষ হইয় আপন আত্মাতে ব্ৰহ্মদর্শন করত সস্তুষ্ট থাকেন,তখন তাহাকে বিদ্বান্‌ বা আত্মারাম বা আত্মক্রীড় বা সন্ন্যাসী বা স্থিতপ্রজ্ঞ বলা যায়। দুঃখে পড়িলে যাহার চিত্ত উদ্বিগ্ন হয় না এবং সুখপ্রাপ্তি হইলে যিনি সেই সুখের স্থিতির আকাজ করেন না সেই আসক্তি-ভয়-ক্রোধ-বিমুক্ত সাধককে মুনি বা স্থিতপ্রজ্ঞ বা ত্যক্ত পুত্র মিত্র লোকৈষণ বা সন্ন্যাসী বলা श्रृंझ । পুত্র মিত্র শরীর প্রাণ প্রভৃতি কোন বিষয়েই যে সাধকের আসক্তি নাই, ধিনি শুভ বিষয় প্রাপ্তিতেও হৃষ্ট হন না এবং অশুভ বিষয় ঘটলেও বিষণ্ণ হন না, সেই হৰ্ষ-বিষাদ-আসক্তি-বর্জিত সাধকের প্রজ্ঞাই প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলা যায়। কোন প্রকার ভয় পাইলে কুৰ্ম্ম যেমন আপনার সমস্ত অঙ্গ সঙ্কুচিত করে সংসারভীত সাধক সেই প্রকার যখন সমস্ত বিষয় হইতে আপনার সকল ইন্দ্রিয়কে প্রত্যাহরণ করেন তখন তাহার প্রজ্ঞাকে প্রতিঠিত বলা যায়। ইঞ্জিয়দ্বায় বিষয়ভোগে অসমর্থ, জড়, আতুর বা উপবাসপরায়ণ প্রভৃতি ব্যক্তিগণ বিষয় হইতে প্রতিনিবৃত্ত হয় বটে কিন্তু তাহাদের বিষয়াভিলাষ নষ্ট হয় না। যে সাধক স্থিতপ্রজ্ঞ হইয়াছেন তিনিও বিষয়