পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ প্রবন্ধ । ১৩৩ তিনি এক বা অদ্বিতীয়। এই মায়াময় জগৎ ೪Sಿ: তিনি সমস্ত ভূতেরই অন্তরাত্ম। তাহারই জ্ঞানময় রূপ বশে দৃশুদ্রষ্ট প্রভৃতি নানাভাবে বিবৰ্ত্তিত হইতেছে। যে সকল সাধকেরা আপনাদিগের মন এবং ইন্দ্রিয়বৃত্তিসকলকে নিবৃত্ত করিয়া আপন আপন হৃদয়াকাশে র্তাহাকে সাক্ষাৎ দর্শন করেন, তাহারাই আত্মাননারূপ নিত্য মুখ ভোগ করেন। এই পরম সুখ অন্ত লোকের ভাগ্যে ঘটে না । এই সমস্ত অনিত্য জগতে তিনিই একমাত্র নিত্য পদার্থ। যেমন অগ্নি সংযোগে লৌহখণ্ড অগ্নিরূপ ধারণ করে সেইরূপ সেই ব্রহ্মের নিমিত্তই সমস্ত জীবের চেতনা হইয়া থাকে। সেই সৰ্ব্বেশ্বর সর্বজ্ঞপুরুষ জীবগণকে আপন আপন কৰ্ম্মফলরূপ কাম্যবস্তু প্রদান করেন । র্তাহাকে যে সাধকের আপনাদিগের হৃদয়াকাশে দর্শন পান, তাহারাই নিতশাস্তি ভোগ করেন অপরের ভাগ্যে তাহ ঘটে না । তৈত্তিরয়োপনিষৎ বলিয়াছেন – সেই ব্ৰহ্ম বা আত্মাই পূর্ণাননা। আত্মজ্ঞানী তাহাকে পাইয়া পরমানন্দ ভোগ করেন এবং যাবতীর জীবগণ ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে যে আনন্দ উপ ভোগ করে,সেই সামান্ত আনন্দমাত্রা সকল পূর্ণানন্দেরই অংশ মাত্র। যদি আত্মা আনন্দময় না হইতেন তাহা হইলে কোন ব্যক্তি আপন আত্মাতে প্রেম করিত ? এবং ইহলোকে বা পরলোকে সুখে বাচিয়া থাকিতে ইচ্ছা করিত ? বাস্তবিক আত্মাই সকলকে আপন আপন কৰ্ম্মান্নুরূপ स्नानल প্রদান করেন। যখন সাধক এই অদৃশ্য, অশরীর, অনিৰ্দেশ্য, সৰ্ব্বধার অথচ স্বয়ং অনাধার আনন্দ ব্ৰহ্মকে আপন আত্মা বলিয়া নিঃসন্দেহরূপে জানিতে পারেন, তখন সাধক অভয় হন এবং ব্ৰহ্মানন্দ ভোগ করেন । কিন্তু যতকাল জীব “ব্রহ্ম অন্ত এবং আমি অন্ত” এইরূপ অল্পমাত্রও ভেদ দর্শন করিবে ততকাল তাহার ভয় থাকিবে। যে সকল পাণ্ডিত্যাভিমানিগণ এইরূপ ভেদ দর্শন করেন,সেই আনন্দময় ব্ৰহ্মই র্তাহাদের ভয়ের কারণ হন। ৬/ গীতা বলিয়াছেন— হে ভরতকুলাগ্রগণ্য ! এক্ষণে আমার নিকট তিন প্রকার মুখের