পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বেদান্ত দর্শন । سوإن لا বিতা, যিনি চিন্মর, আমরা তাহার স্বরূপভাব ধ্যান করি ; তিনি আমাদের বুদ্ধিকে তাহার ধ্যানে নিয়োগ করুন”। ব্ৰহ্ম হইতে বেদবেদান্তাদির উদ্ভূত হওয়া বৃহদারণ্যক উপনিষদে অতি স্পষ্টভাবে কথিত আছে যথা— ছে মৈত্রেয়ী। যেমন আদ্রকাষ্ঠ দ্বারা প্ৰজলিত অগ্নি হইতে ধূম বিষ্ণু লিঙ্গাদি বিনির্গত হয় সেইরূপ মহাভূত পরমাত্মা হইতে ঋগ্বেদ যজুৰ্ব্বেদ সামবেদ এবং অথৰ্ব্ববেদ এই চারি বেদোক্ত মন্ত্র সকল, এবং (১) ইতিহাস, (২) পুরাণ, (৩) আধিভৌতিক ও আধিদৈবিক বিদ্যা, (৪) আধ্যাত্মিক বিদ্যা, (৫) ব্যাখ্যাত্মক শ্লোক, (৬) স্বত্র, (৭) স্থত্রের বিচার এবং (৮) সাধারণ ব্যাখ্যা, এই অষ্টবিধ ব্রাহ্মণ উৎপন্ন হইয়াছে। বেদের শ্লোকা স্মক অংশকে মন্ত্র বলে এবং বেদের ব্যাখ্যাত্মক অংশকে ব্রাহ্মণ বলে । মন্ত্রে ধাহা অল্প কথায় থাকে ব্রাহ্মণে তাহ বিস্তারিত ভাবে থাকে। মন্ত্র এবং ব্রাহ্মণ সমন্বিত বেদ সকলকে স্বষ্টি করিতে ঈশ্বরকে কিছুমাত্র আয়াস স্বীকার করিতে হয় নাই। জীবগণ যেমন বিনা আয়াসে নিশ্বাস পরিত্যাগ করে ঈশ্বর সেইরূপ বিনা প্রযত্নে বেদ সকলকে প্রকটিত করিয়াছিলেন। অন্তান্ত শাস্ত্রোক্ত বাক্যসকল প্রত্যক্ষের অথবা অনুমানের অথবা বেদের বিরুদ্ধ হইলে অপ্রমাণ হয়। বেদ কিন্তু অন্ত প্রমাণ অপেক্ষা করে না । বেদে যাহা কথিত আছে তাহ স্বতঃই প্রমাণ বলিয়। গ্রাহ হয় । কোন স্থলে যদি বেদের কোন অংশকে প্রত্যক্ষ শব্দ বা অনুমানমূলক কোন অংশের বিরুদ্ধ বলিয়া বোধ হয় তাহা হইলে সেই অংশ অপ্রমাণ বলিয়া পরিত্যক্ত হইবে না। সেখানে বুঝিতে হইবে যে, হয় আমরা বেদের যথার্থ মৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে পারিতেছি না অথবা মরীচিকা দর্শনের দ্যায় আমাদের প্রত্যক্ষ দর্শনে কোন প্রকার ভ্রম আছে অথবা আমাদের শব্দজ্ঞানে বা অনুমানে কোনরূপ প্রমাদ হইয়াছে। বাস্তবিক বেদ নিভুল এবং অন্ত প্রমাণ নিরপেক্ষ। এই সপ্রমাণ বেদ যাহা হইতে উদ্ভূত হইয়াছে তিনি নিশ্চয়ই সৰ্ব্বজ্ঞ । তুতীয় স্থত্রের এই অর্থ গ্রহণ করিলেও ইহা প্রতিপন্ন হয় যে সত্য,