পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ প্রবন্ধ । । రిసే জ্ঞান, অনন্ত ব্ৰহ্মই বেদান্তশাস্ত্রের প্রতিপাদ্য। বেদান্ত শাস্ত্র দ্বারাই উক্ত ব্ৰহ্মকে জানা যায়, উক্ত ব্ৰহ্মই একমাত্র সত্য, এই জগৎ মায়াময় কিন্তু অবিদ্যা বশতই সত্য বলিয়া প্রতিভাত হয়, ঐ অবিদ্যা ঘুচাইবার জন্য শান্ত, দান্ত, উপরত, তিতিক্ষু, সমাহিত হইয় সদ গুরুর শরণগ্রহণ পূৰ্ব্বক ভক্তিভাবে বেদান্ত শাস্ত্রের আলোচনা এবং বেদান্তবিহিত মার্গে ব্রহ্মের উপাসনা করাই জীবগণের কৰ্ত্তব্য এবং উক্ত সাধনা দ্বারা ঈশ্বরানুগ্রহে অবিদ্যা ঘুচিয়া অদ্বৈত জ্ঞান হইলে জীব পরমানন্দ বা অক্ষয় শান্তি বা মোক্ষপদ লাভ করেন। কেহ কেহ বলেন যে যদি চিরকাল ধরিয়া ঈশ্বরের উপাসনাই করিলাম তবে উপাসনার ফল ভোগ করিব কবে ? এই উক্তি অতি অকিঞ্চিৎকর । এবং প্রথমস্থত্রেই ইহার মীমাংসা হইয়া গিয়াছে র্যাহার উপাসনা করিয়া জাগতিক সুখের আকাজক্ষা করেন র্তাহারা বেদান্তশাস্ত্রের অধিকারী নহেন। বেদান্তশাস্ত্র সর্বোচ্চ স্বর্গমুখ এবং সৰ্ব্বনিম্ন নরকছুঃখ উভয়কেই পরিত্যাগ করিবার উপদেশ দেন। বিশেষতঃ এই মায়াময় জগতের নিয়ম এই যে যাহারা মুখের জন্ত লালায়িত হইয়া কাম্য ও প্রতিবিদ্ধ কৰ্ম্ম করেন র্তাহাদের ভাগ্যে মুখ ঘটে না । যথার্থ মুখ পাইতে হইলে মুথের আকাঙ্ক্ষা একেবারে পরিত্যাগ করিতে হইবে। ঈশ্বর উপাসনা করিলাম তাহার বদলে আমার মুখ চাই এইরূপ দোকানদারী ভাব ঘৃণার সহিত দেখিতে হইবে। মুখদুঃখে কিছুমাত্র বিচলিত না হইয়া কেবল মাত্র ঈশ্বরকেই সার সর্বস্ব মনে করিতে হইবে। এরূপ ভাবনা সুস্থির হইলে তখন দেখিতে পাইবে উপাসনা করাই সুখ এবং কায়মনোবাক্যে ঈশ্বরের উপাসনা করিলে সাধককে সাংসারিক ব্যাপারেও কষ্ট ভোগ করিতে হয় না । ভগবান বলিয়াছেন— যাহারা অনন্তভাবে আমাকে চিন্তা করত কায়মনোবাক্যে আমার উপাসনা করেন সেই মদেকনিষ্ঠ ভক্তগণের যে সকল প্রয়োজনীয় দ্রব্য না খাকে তাহ আমি তাহাদিগকে প্রদান করি এবং তাহাদের যে সকল প্রয়োজনীয় দ্রব্য থাকে তাঙ্কা আমি ঠাহাদের জন্স সংরক্ষণ করি ।